সময় এখন ডেস্ক:
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ হাজার ৮শ’ পিস ইয়া’বাসহ এক যাত্রীকে আটক করা হয়েছে। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে তাকে আটক করে। এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়েছে।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপস অ্যান্ড মিডিয়া) আলমগীর হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যাক্তির নাম সুজন মিয়া (২৮)। সে জামালপুর জেলার বক্সীগঞ্জ থানার কুশলনগর গ্রামের মো. আব্দুল মজিদের ছেলে।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মো. সুজন মিয়া বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বর্হিগামী রাস্তার ডানে গাড়িপার্কিং এলাকায় ইতস্তত ঘোরাফেরা করছিল। এসময় তাকে চ্যালেঞ্জ করেন ওই এলাকায় নিরাপত্তা ডিউটিতে থাকা আর্মড পুলিশের দায়িত্বরত সদস্যরা।
পুলিশের উপস্থিতি দেখে কৌশলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সে। পরবর্তীতে তাকে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের হেফাজতে নিয়ে তল্লাশি ও জিজ্ঞাসা’বাদ করা হয়। জিজ্ঞাসা’বাদে সে পেটের ভেতর ইয়া’বা থাকার কথা স্বীকার করে। যা পায়ুপথে প্রবেশ করানো হয়েছিল। পরে বিশেষ কায়দায় ৮ ঘণ্টা পর তা বের করে আনা হয়।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, উদ্ধার ইয়া’বার বাজার মূল্য প্রায় ৯ লাখ টাকা। জিজ্ঞাসা’বাদে সুজন মিয়া জানিয়েছে- বরিশালের জনৈক হাসানের অর্থায়নে সে এই ইয়া’বা বহন করেছে। সে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স যোগে কক্সবাজার থেকে এই ইয়া’বা ঢাকায় নিয়ে আসে।
চার্জার লাইটের ভেতর ১৩০টি সোনার বার, আমিরাত ফেরত যাত্রী আটক
চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে চার্জার লাইটের ভেতরে লুকিয়ে আনা ১৩০ পিস সোনার বারসহ এক যাত্রীকে আটক করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকালে তাকে আটক করা হয়। টেলিফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহ আমানত বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সরওয়ার-ই জামান।
আটক ব্যাক্তির নাম জয়নাল আবেদীন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে এয়ার অ্যারাবিয়ার ফ্লাইটটি চট্টগ্রামে আসে শুক্রবার সকাল ৮ টা ১০ মিনিট। বিমানবন্দরে সন্দেহ হওয়ায় জয়নালকে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় তার কাছে থাকা চার্জার লাইট খুলে ১৩০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত সোনার ওজন ১৫ কেজি। এগুলো ৬টি চার্জার লাইটের ভেতরে করে আনা হয়েছিল।
শাহ আমানতের ব্যবস্থাপক জানান, আটক জয়নালের বিরু’দ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তাকে পতেঙ্গা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
66