সময় এখন ডেস্ক:
বেড়ানোর কথা বলে স্ত্রীকে সাজগোজ করিয়ে রাজধানীর বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে হ’ত্যা করে কিশোর গ্যাং-লিডার রুবেল। শুধু তাই নয়, এর পর রুবেলের পরিবার ভোজের আয়োজন করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বন্যার পরিবারের অভিযোগ, হ’ত্যার পর রুবেলের বাড়িতে ভোজের আয়োজন করা হয়। সেখানে তারা মাংস-পোলাও, খিচুড়ি রান্না করে খাবার আয়োজন করে।
পুলিশ জানায়, বেড়ানোর কথা বলে কিশোর গ্যাং-লিডার রুবেল তার স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে যায় মঙ্গলবার। সুযোগ বুঝে সহযোগী তারিকুল ইসলামকে নিয়ে বন্যাকে খু’ন করে লা’শ ডোবায় ফেলে দেয়।
বৃহস্পতিবার ভোরে বন্যার লা’শ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বন্যার মা বাদী হয়ে রাজধানীর শাহআলী থানায় হ’ত্যা মামলা করার পর বৃহস্পতিবারই গ্রেপ্তার করা হয় রুবেল ও তাদের সহযোগী তারিকুলকে। রুবেল ও তার সহযোগী শুক্রবার বন্যাকে হ’ত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানব’ন্দি দিয়েছেন।
জানতে চাইলে শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন মিয়া বলেন, মামলা করার পরপরই আমরা আসামি রুবেল এবং তার সহযোগী তারিকুলকে গ্রেপ্তার করি। জিজ্ঞাসা’বাদে তারা হ’ত্যার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ ও পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে রুবেল স্ত্রীকে সাজিয়ে-গুছিয়ে বোটানিক্যাল গার্ডেনে বেড়াতে নিয়ে যায়। সেখানে বন্যার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হ’ত্যা করে। পরে লা’শ ডোবায় ফেলে দেয়া হয়। এরপর বৃহস্পতিবার পুলিশ ডোবা থেকে লা’শ উদ্ধার করে।
এ সময় স্থানীয়রাও উদ্ধারে সহযোগিতা করে। উদ্ধার অভিযানের এক পর্যায়ে রুবেল নিজেও পুলিশকে সহযোগিতা করে।
সূত্র জানায়, এক সময় রূপনগরের পাশাপাশি কক্ষে থাকত বন্যা (১৬) ও রুবেলের (১৮) পরিবার। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে দুই পরিবারের সম্মতিতে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে বনিবনা ছিল না।
কিছুদিন আগে রুবেলের পিতা বন্যার পরিবারের সবাইকে হ’ত্যার হুম’কি দিয়ে বলেন, যা করা লাগে আমি করব। এ বলে রুবেলকে আশ্বস্ত করেন। এর পরই রুবেল তার স্ত্রী বন্যাকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে এবং সে অনুযায়ী তাকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার লা’শ উদ্ধারের পর শাহআলী থানায় হ’ত্যা মামলা করেন বন্যার মা পপি আক্তার।
বন্যার মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ের খবর তো আমি আর পাই না। আমার মেয়েকে মে’রে ওরা পানির তলে রাখছিল। আমার মেয়ে আর মা বলে ডাক দেবে না। আহাজারি করতে করতে বলেন, আমার সোনার চান কালা হয়ে গেছে।
বন্যার বাবা জসিম উদ্দিন বলেন, আমার মেয়েকে না খাওয়াতে পারলে আমার কাছে বুঝিয়ে দিত। কিন্তু কেন তারা আমার কলিজার টুকরাকে এভাবে খু’ন করল।
স্থানীয়রা জানান, কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অনেক দিন থেকেই নানা অ’পকর্মে জড়িত ছিল রুবেল। তার কারনে স্থানীয়রাও ছিল অতি’ষ্ঠ।