আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
২০১১ সালে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের কাছে পাঠানো ৩ হাজার গোপন ই মেইল থেকে লিবিয়ার সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে হ’ত্যার ঘটনার নেপথ্যে ফ্রান্সের হাত থাকার ঘটনা প্রকাশ পেয়ে গেছে।
ওই ৩ হাজার ই মেইল এর সার সংক্ষেপ হচ্ছে- আফ্রিকা মহাদেশের ওপর নিজের আ’ধিপত্য বজায় রাখা এবং লিবিয়ার তেল সম্পদের সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার করার লক্ষ্যে ফ্রান্স গাদ্দাফি সরকারের পত’ন ঘটানোর লক্ষ্যে ন্যাটো জোটের সামরিক শক্তিকে ব্যবহার করেছে।
ওই ৩ হাজার ই মেইল ২০১১ সালে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে পাঠানো হয়েছিল। খবর পার্স টুডের।
২০১১ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ক্যু’ হয় এবং এর জের ধরে কয়েকটি দেশের সরকারের পত’ন ঘটে।
হিলারি ক্লিনটনের কাছে পাঠানো ই মেইলগুলোতে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ৫টি লক্ষ্য সামনে রেখে ন্যাটোর মাধ্যমে লিবিয়ায় হাম’লা চালান।
লক্ষ্যগুলো হচ্ছে- লিবিয়ার তেল সম্পদের ওপর আধি’পত্য প্রতিষ্ঠা, উত্তর আফ্রিকার সাবেক উপনিবেশগুলোতে ফ্রান্সের প্রভা’ব ধরে রাখা, সারকোজির আঞ্চলিক সুনাম বাড়ানো, ফ্রান্সের সামরিক শ’ক্তিমত্তা প্রদর্শন এবং পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোতে গাদ্দাফির প্রভা’ব ক্ষু’ণ্ন করা।
উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর বেনগাজি থেকে গাদ্দাফি সরকারের বিরু’দ্ধে সশ’স্ত্র আন্দোলন শুরু হয়। এ সময় গাদ্দাফি ওই আন্দোলন দম’ন করতে বেনগাজির দিকে যে বিশাল সামরিক বহর পাঠান, বিমান হাম’লা চালিয়ে সে বহরকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয় ন্যাটো বাহিনী।
ফলে গাদ্দাফি সরকারের ওপর যে আঘা’ত আসে তা সামলে ওঠা ত্রিপলির পক্ষে সম্ভব হয়নি এবং এর জের ধরে সরকারের পত’ন ও গাদ্দাফি বিক্ষু’ব্ধ জনতার হাতে ধরা পড়ে নিহ’ত হন।
দৃশ্যত ক্যু’তে গাদ্দাফি সরকারের পত’ন হলেও এ ঘটনায় মূল অনু’ঘটকের কাজটি ন্যাটো জোট করে দেয়, যে জোটের নামে মূল হাম’লাটি চালিয়েছিল ফ্রান্সের সেনাবাহিনী।
122