সময় এখন ডেস্ক:
ভোলার ঘটনায় সাম্প্র’দায়িক উস্কা’নিতে পা না দিতে দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী। বুধবার এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ভোলার বোরহানউদ্দিনে রোববার কিছু বিপথগামী মানুষের উন্ম’ত্ত আচরণের কারনে আত্ম’রক্ষায় চালানো পুলিশের গু’লিতে ৪ জন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের মৃ’ত্যু এবং অসংখ্য মুসল্লি আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুবিধাভোগী তৃতীয় পক্ষের কাউকে ঘোলা পানিতে মাছ শি’কার করতে দেয়া যাবে না।
বাংলাদেশের বিরাজমান সাম্প্র’দায়িক সম্প্রীতি বিন’ষ্ট হয়- এমন কোনো কাজ না করার জন্য তিনি সারাদেশের সকল মুসলমানের প্রতি আহ্বান জানান।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, আমাদের নবীর শানে যারা বেয়া’দবি করেছে, অভিযোগে অভিযুক্ত ইমন ও শরীফকে আইনের আওতায় এনে শা’স্তি প্রদানসহ অন্যান্য দাবিতে দলমত নির্বিশেষে ধর্মপ্রাণ মানুষ শান্তিপূর্ণ প্র’তিবাদ কর্মসূচি পালন করছে।
ভোলার সর্বদলীয় জনতার পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে ৬ দফা দাবি পেশ করা হয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ আন্দোলন অ’ব্যাহত থাকবে। কিন্তু কারও উস্কা’নিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, ঘর-বাড়ি বা অন্য কোনো স্থাপনায় কোনোভাবেই হাম’লা কিংবা ক্ষ’তিসাধন করা যাবে না। এই ধরনের ঘটনা যাতে দেশের কোথাও না ঘটে সে জন্য দেশের আলেম উলামাসহ ধর্মপ্রাণ মানুষদেরই সতর্ক থাকতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি হাটহাজারীতে প্রতিবাদ বিক্ষো’ভ চলাকালে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মন্দিরে মাদ্রাসাছাত্রদের পাহারা দেয়ার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম এবং মুসলমানরা সাম্প্র’দায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী- এটা তারই প্রমাণ।
জমিয়ত মহাসচিব বলেন, আমরা ভোলার ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, অপরাধীদের শা’স্তি এবং নবীর শানে বেয়া’দবির অপরাধে সর্বোচ্চ শা’স্তির বিধান করে আইন পাসের দাবি জানাচ্ছি।
সরকারকে ধর্মপ্রাণ মানুষের বিপক্ষে অবস্থান না নিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে ধর্ম অব’মাননা বন্ধে স্থায়ী পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ সব দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।