ফেনী প্রতিনিধি:
ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হ’ত্যা মামলার রায়ে ১৬ জনের ফাঁ’সির আদেশের পরও তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আত’ঙ্ক কাটছে না।
শুক্রবার সকালে নুসরাতের কবর জিয়ারত করে মসজিদে জুমার নামাজ পড়াতে যাওয়ার সময় নুসরাতের বৃদ্ধ দাদুর কাছ থেকে বিদায় নিতে যান নুসরাতের বাবা।
এ সময় বৃদ্ধ মোশারফ হোসেন ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেন, মসজিদে ওয়াজ কম করিও। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা কম বলিও। ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভে’ঙে পড়েন দাদু মোশাররফ হোসেন।
এদিকে সকাল থেকে নুসরাতের মাকে সান্ত্বনা দিতে আত্মীয় স্বজনরা বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।
নুসরাতের মামলার রায়ের পর পর তাদের ঘরের ডিশ লাইনের কানেকশন ডিসকানেক্ট করে দেয় দু’র্বৃত্তরা। পরে থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মদ খালেদ হোসেন ক্যাবল অপারেটরকে ফোন করে বিকাল ৩টার দিকে সংযোগ লাগিয়ে দেন।
নুসরাতের বড় ভাই মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমান জানান, আদালতে রায়ের পর পর আসামিদের আপ’ত্তিকর মন্তব্য আর হুম’কিতে আত’ঙ্কিত হয়ে পড়েছেন তারা। বাড়িতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করলেও তাদের পরিবারের সদস্যদের আত’ঙ্ক এখনও কাটেনি।
নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা মানিক নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একটি মসজিদের খতিব ও একটি ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষক। তিনি শুক্রবার সকালে নুসরাতের কবর জিয়ারত করে মসজিদে জুমার নামাজ পড়াতে তার কর্মস্থলে চলে যান।
জুমার নামাজের পর প্রিয় বোনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে কবর জিয়ারত করেন মাহমুদুল হাসান নোমান। নুসরাতের মা নুসরাতের শয়ন কক্ষে ক্ষণে ক্ষণে বিলা’প করছেন। আবার অ’চেতন হয়ে পড়ছেন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যা’তন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ মামলার ১৬ আসামির মৃ’ত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ১ লাখ টাকা করে জরি’মানাও করা হয়েছে। এই টাকা নুসরাতের পরিবারকে দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
167