স্পোর্টস ডেস্ক:
ইডেন গার্ডেন্সে ভারত-বাংলাদেশ টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নব নির্বাচিত সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি।
ইতোমধ্যেই দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদিকে নিমন্ত্রণ করেছেন তিনি। নিমন্ত্রণ পেয়েছেন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও। শুধু তাই নয়, ২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টে খেলা দুই দেশের ক্রিকেটারদেরও আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন সৌরভ।
এত আয়োজনেও যেন সন্তুষ্ট নন বিসিসিআইর নতুন সভাপতি। তিনি চিন্তা করলেন আরও কী নতুনত্ব আনা যায়! ইডেনে এমনিতেই প্রথমবারেরমত টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। সে কারণে এই টেস্ট ম্যাচটিকে ফ্লাড লাইটের আলোয় ডে-নাইটের করা যায় কি না তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছিলেন আরও আগে।
এবার সেই চিন্তা-ভাবনার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পালা। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইডেনে গোলাপি বলে ক্রিকেট হবে। সৌরভ গাঙ্গুলির সঙ্গে এই প্রস্তাবে রাজিও হয়েছেন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি, কোচ রবি শাস্ত্রিরা।
ভারতে এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চললেও, বাংলাদেশকে এতদিন আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়া হয়নি এ ব্যাপারে। অবশেষে আজ সেই প্রস্তাবও পেয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি পরিচালক এবং ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান জানিয়েছেন এ তথ্য।
আকরাম খান বলেন, ‘আমরা বিসিসিআইর কাছ থেকে অফিসিয়াল প্রস্তাব পেয়েছি।’ তবে তিনি নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি, বাংলাদেশ এই প্রস্তাবে রাজি হবে কি হবে না। সবার সঙ্গে বসেই সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন আকরাম খান।
আকরাম খানের সঙ্গে কথা বলার আগেই যোগাযোগ করেছিল বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনের সঙ্গে। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব পাননি। তবে, নানা মাধ্যমে শুনেছেন- ভারত কলকাতা টেস্টকে দিবা-রাত্রির করতে চায়।
বিসিবি প্রধান নির্বাহী বলেন, এখনও পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব না পেলেও আমরা শুনেছি, কলকাতা টেস্টকে ডে-নাইট করার পরিকল্পনা চলছে।
কিন্তু বিসিবির সিইও আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাওয়ার কথা না জানালেও বিসিবি পরিচালক ও ক্রিকেট অপস কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান নিশ্চিত করেছেন যে, ‘প্রস্তাব এসেছে। বিসিসিআইর পক্ষ থেকে কলকাতা টেস্টকে দিবা-রাত্রির করার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আমরা পেয়েছি।’
প্রস্তাব পেলে কী করবেন? এ প্রশ্নের জবাবে সিইও বলেছেন, ‘আমরা আগে প্রস্তাব পাই, তারপর চিন্তা করবো।’ আকরাম বলেছেন, ‘প্রস্তাব যেহেতু চলে এসেছে। এখন সবার সঙ্গেই বসবো। এটা তো শুধু আমাদের কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার ব্যাপার নয়। এর সঙ্গে ক্রিকেটার কোচ, টিম ম্যানেজমেন্ট যুক্ত আছে। তাদের মতামত নেয়ার বিষয় আছে। কাজেই, হুট করে বলে দেয়ার সুযোগ নেই যে আমরা খেলবো কি, খেলবো না। সবাই বসেই সিদ্ধান্ত নেবো।’
আকরামের কথায় যে ইঙ্গিত মিললো, সেটা হচ্ছে- টিম ম্যানেজমেন্ট তথা কোচ এবং অধিনায়ক চাইলে বিসিবি হয়তো দিবা-রাত্রির টেস্ট খেলার সম্মতি দিতেও পারে।
বিসিবি সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী এবং ক্রিকেট অপস কমিটির চেয়ারম্যানের কথা শুনে একটা কথা পরিস্কার, যেহেতু কলকাতা টেস্ট নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে এবং এটাকে আরও আকর্ষণীয় এবং উপভোগ্য করার চেষ্টা চলছে, সে কারণে ভারতের চাওয়ার প্রতি সম্মান জানিয়েই, কোচ এবং অধিনায়ক রাজি হলেই তারা বিসিসিআইকে ‘হ্যাঁ’ বলে দেবেন।
62