আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সৌদির পবিত্র দুই মসজিদের খাদেম ও দেশটির বাদশাহ বৃষ্টির জন্য সবাইকে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের এক রাজকীয় ফরমানে আগামী বৃহস্পতিবার পবিত্র কাবা শরিফে রহমতের বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়া হবে। খবর সৌদি প্রেস এজেন্সির। ৩১ অক্টোবর পবিত্র কাবা শরিফ চত্বরে রহমতের বৃষ্টির জন্য ওই বিশেষ নামাজের আয়োজন করা হয়েছে।
দেশটিতে প্রতি বছরই একাধিকবার ইসতিসকার নামাজ পড়া হয় বৃষ্টির জন্য। অনাবৃষ্টি বা খরা দেখা দিলেই নবীজি রহমতের বৃষ্টির জন্য নামাজ ও দোয়া করতেন।
এক বিবৃতিতে দেশের প্রত্যেক নাগরিককে নবীর সুন্নাহ অনুসরণে এ নামাজ আদায় করার জোর আহ্বান জানান বাদশাহ।
ভাগ্য ফেরাতে সৌদি আরব গিয়ে লা’শ হয়ে ফিরলেন নাজমা
পরিবারের অভাব দূর করতে সৌদি আরব গিয়ে লা’শ হয়ে ফিরলেন নাজমা বেগম (৪০)। নিয়োগকর্তা ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যা’তনে মৃ’ত্যুর ১ মাস ২৪ দিন পর গত বৃহস্পতিবার রাতে ডেডবডি দেশে এসে পৌঁছে।
নাজমার বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার তালেবপুর ইউনিয়নের ইসলামনগর গ্রামে। ১০ মাস আগে স্থানীয় এক দালালের মাধ্যমে সৌদি আরব যান নাজমা। মৃ’ত্যুর ২ দিন আগেও দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য স্বজনদের কাছে আকুতি জানিয়েছিলেন নাজমা। কিন্তু অর্থাভাবে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি।
স্বজনরা জানান, স্বামী দেলোয়ার মিয়া মারা যাওয়ার পর ২ ছেলেমেয়ে নিয়ে টানাটানির সংসার ছিল নাজমার। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে পার্শ্ববর্তী রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে মো. সিদ্দিকের মাধ্যমে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা খরচ করে সৌদি আরব যান তিনি।
হাসপাতালের ক্লিনার হিসেবে চাকরির কথা বলে জানায় সিদ্দিক। কিন্তু সৌদিতে তাকে গৃহকর্মী হিসেবে বিক্রি করা হয়। সেখানে যাওয়ার পর থেকেই বাড়ির মালিক ও তার ছেলেরা মিলে নাজমাকে যৌ’ন নির্যা’তন করত। কথা না শুনলে পরিবারের অপরা সদস্যরা মিলে নানা অজুহাতে মারধ’র করতো, ঠিকমতো খেতেও দিত না। তাই নাজমা প্রায়ই তার বোন ও ছেলেমেয়েদের ফোন করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বলতেন।
নাজমার ছেলে রাজিব জানান, নির্যা’তনে তার মায়ের মৃ’ত্যু হয়েছে। ২ সেপ্টেম্বর ভোরে এক সৌদি প্রবাসী তাদের ফোন করে মায়ের মৃ’ত্যুর খবর দেন। সৌদি একটি সরকারি হাসপাতালের হিমঘরে তার মায়ের ডেডবডি রাখা হয়েছে বলে খবর দেয়া হয়।
এরপর তারা দালাল সিদ্দিকের কাছে গিয়ে ডেডবডি দেশে আনতে অনুরোধ জানান। কিন্তু গড়িমসি করেন সিদ্দিক। ডেডবডি দেশে আনার মতো অর্থ না থাকায় সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে বৈদেশিক কল্যাণ সংস্থার সহযোগিতায় ডেডবডি বৃহস্পতিবার বাড়িতে আনা হয়।
বৈদেশিক কল্যাণ সংস্থা ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছে তাদের। মায়ের মৃ’ত্যুর জন্য দালাল সিদ্দিকের সাজা চেয়েছেন রাজিব মিয়া।
213