হাটহাজারী প্রতিনিধি:
দেশের অন্যতম ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফীর দোয়া চাইলেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তসহ অন্য নেতারা।
সোমবার সন্ধ্যার দিকে হাটহাজারীর আল-জামিলাতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় হেফাজত আমীরের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
সংগঠনটির শীর্ষ নেতা অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে ৪ সদস্যবিশিষ্ট ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইন্দুনন্দন দত্ত, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. গোবিন্দ প্রসাদ মহাজন ও হাটহাজারী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. অশোক কুমার দেব।
যদিও ওই দিন রাতে গণমাধ্যমকর্মীরা হেফাজতের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি অ’স্বীকার করেন তারা।
পরে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় যে, সাম্প্রদা’য়িক সম্প্রীতি রক্ষায় হেফাজত আমীর আল্লামা শফীর সঙ্গে দেখা করে দোয়া চেয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, আল্লামা শফীর সঙ্গে দেখা করে সম্প্রতি ভোলার বোরহানউদ্দিনে ফেসবুকে ‘ইসলাম ধর্ম অব’মাননার’ অভিযোগ এনে সংঘর্ষের সময় শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষায় তার ভূমিকার জন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের পক্ষে ধন্যবাদ জানান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
এ সময় তারা সাম্প্রদা’য়িক সম্প্রীতি রক্ষায় হেফাজত প্রধানের কাছে দোয়া চাইলে তিনি দোয়া করেন বলে মোবাইল ফোনে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ডা. গোবিন্দ প্রসাদ মহাজন।
প্রসঙ্গত, গত ২০ অক্টোবর ‘ধর্ম অব’মাননার’ অভিযোগ এনে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘ’র্ষে নিহ’ত হয় ৪ জন। এ ঘটনায় আহত হয় আরও ২০০ জনের মতো।
ওই ঘটনার জেরে একই দিনে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্ররা একটি বিক্ষো’ভ মিছিল বের করে। পরে তারা হাটহাজারী থানায় ব্যাপক ভাং’চুর চালায় এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি মহাসড়ক অবরো’ধ করে রাখে।
যদিও পরবর্তীকালে এ সব কাজের সঙ্গে হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা জড়িত থাকার বিষয়টি পত্র পত্রিকায় উঠে এলে সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
1.9K