স্বামী এমপি হারুনকে নিয়ে বিএনপি নেত্রী পাপিয়ার হু’ঙ্কারই সত্য হলো

0

সময় এখন ডেস্ক:

শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা নিয়ে পরে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁ’কির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদ। সেই মামলায় গত ২১ অক্টোবর এমপি হারুনকে ৫ বছরের দ’ণ্ড দিয়ে কারাগা’রে পাঠান আদালত।

এরপর সেদিনই এমপি হারুনের স্ত্রী ও বিএনপির সাবেক এমপি আসিফা আশরাফি পাপিয়া হু’ঙ্কার দেন, ১০ দিনের মধ্যে দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের কারাদ’ণ্ডপ্রাপ্ত স্বামী এমপি হারুনের জামিন হয়ে যাবে বলে। অতঃপর পাপিয়ার সেই হু’ঙ্কারই সত্য হলো। ১০ দিনের আগেই জামিন পেয়েছেন এমপি হারুন।

দুর্নীতির মামলায় দ’ণ্ডিত বিএনপির নেতা হারুন অর রশীদকে আদালত ৬ মাসের জামিন দিয়েছেন। জামিন দেয়ার পাশাপাশি তার জরি’মানাও স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে বিচারপতি মো. শওকত হোসেনের বেঞ্চ এই রায় দেন। এর আগে সোমবার সকালে এমপি হারুন তার দ’ণ্ডের বিরু’দ্ধে আপিল করেন ও জামিন চান।

গত ২১ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এমপি হারুনকে ৫ বছরের দ’ণ্ড দেন। পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরি’মানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদ’ণ্ড দেয়া হয়। ওইদিনই তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগা’রে পাঠানো হয়।

এই মামলায় পলাতক আসামি চ্যানেল নাইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এনায়েতুর রহমান বাপ্পিকে ২ বছর সশ্রম কারাদ’ণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদ’ণ্ড দেয়া হয়েছে। অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদ’ণ্ড দেয়া হয়।

এ ছাড়া অপর পলাতক আসামি গাড়ি ব্যবসায়ী স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেককে ৩ বছর সশ্রম কারাদ’ণ্ড ও ৪০ লাখ টাকা অর্থদ’ণ্ড দেয়া হয়। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ’ণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

আদালত সূত্র জানায়, সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় (এমপি কোটায়) ২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি করেন হারুন অর রশীদ। এর ১ সপ্তাহ পরেই গাড়িটি তিনি স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেকের মাধ্যমে ক্রেতা মো. এনায়েতুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। গাড়িটির ইনভয়েস মূল্য ১১ লাখ ৬৪ হাজার ১১০ টাকা।

এ ঘটনায় হারুন অর রশীদসহ ৩ জনের বিরু’দ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। মামলার বাদী হলেন পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস আলী।

মামলাটি তদন্ত করে হারুনসহ ৩ জনের বিরু’দ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। আদালত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ ৩ জনের বিরু’দ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত।

হারুন অর রশীদ চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের এমপি। তিনি কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব। একাদশ জাতীয় সংসদে বিএনপির সংসদীয় দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।

হারুন অর রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সংসদে জোরালো বক্তব্য রেখে আসছিলেন। গত ১ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখে এসে তার মুক্তির দাবি জানান।

পরে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গেও বৈঠক করেন এমপি হারুন। খালেদা জিয়ার জামিনে মুক্তির বিষয়ে সরকারকে নমনীয় হতে ওবায়দুল কাদেরকে অনুরো’ধ করেন তিনি। পরে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

শেয়ার করুন !
  • 160
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!