স্পোর্টস ডেস্ক:
ক্রিকেট মাঠে একে অপরের ভালো সতীর্থ সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। মাঠের বাইরে ব্যক্তিগত জীবনে ঘনিষ্ঠ বন্ধু তারা। স্বাভাবিকভাবেই একের দুঃখ, ক’ষ্ট, আনন্দের অনুভূতি অন্যের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই সাকিবের আকস্মিক নিষে’ধাজ্ঞায় ব্য’থিত তামিম।
সাকিবের শা’স্তির খবর মঙ্গলবারই পান তামিম। খুব কাছের বন্ধু বলে তৎক্ষণাৎ কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেন তিনি। অবশেষে বুধবার আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ড্যাশিং ওপেনার।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তামিম লিখেছেন, ১২ মাস তোমাকে আমাদের দলে পাব না। এটা ভাবাও কঠিন। তবে আশা করি, তুমি শক্তভাবে ফিরবে। আগামী বছর এ দিনে আমাদের সঙ্গে ট্রেনিংয়ে থাকবে। আমরা আবার একসঙ্গে খেলব।
সাকিবের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হচ্ছে বিসিবির!
এক ভুলে অনেক কিছু হারাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন রাখায় সব ধরনের ক্রিকেটে ১ বছর নি’ষিদ্ধ হয়েছেন তিনি। যদিও প্রথমে নিষে’ধাজ্ঞাটা ২ বছর ছিল। এ সময়ে ক্রিকেট থেকে কোনো উপার্জন হবে না তার।
মানসম্মানও হারিয়েছেন সাকিব। নিষে’ধাজ্ঞার পর পরই মর্যাদাপূর্ণ মেরিলিবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) কমিটি থেকে পদ’ত্যাগ করেছেন তিনি। এ রকম আরও অনেক ক্রিকেটিয় ও ভলান্টারি সংগঠন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে তাকে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) শীর্ষ গ্রেডের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারদের একজন সাকিব। ‘এ’ প্লাস ক্যাটাগরিতে বোর্ড থেকে মাসে ৪ লাখ টাকা বেতন পেতেন তিনি। সেই চুক্তিও বাতিল হচ্ছে।
সাকিব ১ বছর কোনো ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন না। এমনকি কোনো প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটিয় কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারবেন না। ফলে অটোমেটিক বিসিবির সঙ্গে তার পূর্ব চুক্তি বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
বোর্ড সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ অক্টোবর নি’ষিদ্ধ হয়েছেন সাকিব। এদিন থেকেই বিসিবির সঙ্গে তার চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত তা কার্যকর থাকার কথা। তবে এ নিয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সাকিবের সঙ্গে বিসিবির চুক্তি বাতিল হচ্ছেই। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, নিয়মানুযায়ী নিষে’ধাজ্ঞার দিন থেকে দু’পক্ষের চুক্তি বাতিল হয়ে যায়। সেটি সম্ভবত আর থাকছে না।