নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় নিজের মেয়েকে দীর্ঘদিন যাবৎ নিপী’ড়নের অভিযোগে এক ল’ম্পট বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত মো. মুসলিম মিয়া (৪৫) বন্দর দক্ষিণ লক্ষণখোলা এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভিক্টিম মেয়েটি নিজে বাদী হয়ে তার পিতার নামে মামলা দায়ের করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ভিক্টিম মেয়েটির মা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তিনি (মা) কাজে গেলে মেয়েটির বাবা প্রায় দিন তাকে জোর করে ধ-র্ষণ করত। সামাজিকতার কারনে মেয়েটি কাউকে কিছু বলতে পারত না। এভাবে দীর্ঘ ১ বছর ধরে বাবার দ্বারা নি-গৃহীত হয় মেয়েটি।
এক পর্যায়ে অতি’ষ্ঠ হয়ে মেয়ে ঘটনাটি তার মাকে বলতে বাধ্য হয়। পরে মা তার মেয়েকে নিয়ে অন্যত্র বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করে। এতে করে মেয়েটির বাবা মা-মেয়েকে নানাভাবে হুম’কি দিতে থাকে।
নিরুপায় হয়ে বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানায় তারা। পরে তাদের সহায়তায় বুধবার থানায় এসে ওই মেয়ে বাদী হয়ে তার বাবা মুসলিম মিয়ার নামে মামলা করে। এর পর তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাটি খুবই সেনসিটিভ। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রথম বিয়ের কথা গোপন করে ২য় বিয়ে করায় গৃহবধূর কারাদ’ণ্ড
টাঙ্গাইলে প্রথম বিয়ে গোপন রেখে ২য় বিয়ে করায় সাদিয়া জাহান সেঁজুতি (২৩) নামে এক গৃহবধূকে ১ বছরের কারাদ’ণ্ড ও ২ হাজার টাকা জারি’মানা করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন এ রায় দেন। আসামি সাদিয়া জাহান সেঁজুতি টাঙ্গাইল শহরের সাবালিয়া তিনতলা এলাকার ফুলকুঁড়ি টাওয়ারের ৮ম তলার বাসিন্দা মনির হোসেনের মেয়ে।
টাঙ্গাইল জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস আকবর খান বলেন, সাদিয়া জাহান সেঁজুতি ২০১৪ সালে প্রথম বিয়ে গোপন করে শহরের সাবালিয়া এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে শাহনেওয়াজ শিহাবকে ২য় বিয়ে করেন।
পরে স্বামী শাহনেওয়াজ প্রথম বিয়ের কথা জানতে পেরে টাঙ্গাইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘদিন শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিকেলে আদালতের বিচারক মোয়াজ্জেম হোসেন মামলার রায় দেন।
563