অনু-প্রবেশকারীদের ছায়া দিয়েছে যারা, তাদের তালিকাও যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর হাতে

0

বিশেষ প্রতিবেদন:

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনু-প্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার একটি নিজস্ব টিম এবং গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে এই তালিকা তৈরি করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে জানিয়েছেন যে, এই তালিকায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ অনু-প্রবেশকারীকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা দলের প্রবেশ করে দলের সুনাম ন’ষ্ট করেছেন।

কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু এই অনু-প্রবেশকারীদের তালিকা এবং তাদের বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেই ক্ষা’ন্ত নন বরং তিনি মনে করছেন যে, যারা আওয়ামী লীগে এই অনু-প্রবেশকারীদের সুযোগ করে দিয়েছে, যাদের কারণে এরা আওয়ামী লীগের মতো সংগঠনে ঢুকেছে তাদেরকেও চিহ্নিত করা প্রয়োজন।

অনুসন্ধানে দেখে গেছে যে আওয়ামী লীগের প্রভা’বশালী নেতাদের কারণেই এই সমস্ত বিত’র্কিত ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগে প্রবেশ করতে পেরেছে। এরা স্থানীয় পর্যায়ে তাদের ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং তাদের কর্তৃত্ব নির’ঙ্কুশ করতেই এই ধরণের অনু-প্রবেশ ঘটিয়েছে বলে শেখ হাসিনার নির্দেশে যে তদন্ত টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করেছে তাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে।

দেখা গেছে রাজশাহী অঞ্চলে যে অনু-প্রবেশ ঘটেছে রাজশাহীর-৪ বাগমারা আসনের এমপি এনামুল হকের নেতৃত্বে। ওই এলাকায় বর্তমান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের পৃষ্ঠপোষকতায় অনেক অনু-প্রবেশকারী ঢুকেছে বলে এ তালিকা পর্যালোচনা করে দেখা যায়।

কুষ্টিয়াতে মাহবুবুল আলম হানিফের তত্ত্ববধানেও অনেক বিএনপি-জামায়াতের লোক আওয়ামী লীগে অনু-প্রবেশ করেছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বগুড়া এলাকায় কোণঠাসা হয়ে পড়ে নিজের কর্তৃত্বকে রক্ষার জন্য আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মান্নান অনেক দিক থেকে আওয়ামী লীগে প্রবেশ ঘটিয়েছেন।

অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে যেখানেই অনু-প্রবেশকারীরা ঢুকেছে সেখানেই তাদের পেছনের মদদদাতা হিসাবে পাওয়া গেছে আওয়ামী লীগের সিনিয়র কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতা। ঢাকাতেই কাউন্সিলর পাগ’লা মিজান ও রাজিব গ্রেপ্তার হয়েছে। এদেরকে পৃষ্ঠপোষাকতা দিয়েছিলেন এলাকার সাবেক এমপি ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক।

এভাবে প্রত্যেকটি এলকাতেই যে ১ হাজার ৫০০ অনু-প্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা প্রত্যেকেই এমপি মন্ত্রীদের মদদে এবং পৃষ্ঠপোষকতায় আওয়ামী লীগের মত দলে ঢুকেছে। আওয়ামী লীগের মতো দলে নেতৃত্ব বা বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা হাতিয়ে নিয়েছেন।

একারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলের নীতিনির্ধারকদের বলেছেন, শুধুমাত্র অনু-প্রবেশকারীদের চিহ্নিত নয়, যারা এদেরকে সহায়তা করেছেন এবং যাদের যাদের কারণে এরা আওয়ামী লীগে প্রবেশ করতে পেরেছে তাদেরকেও চিহ্নিত করা হবে। প্রয়োজনে তাদেরকেও নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে।

এই তালিকা তৈরীর পাশপাশি আওয়ামী লীগে চলছে যাচাই বাছাইয়ের কাজ। এই ১ হাজার ৫০০ ব্যক্তি কীভাবে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করলো কার সহায়তা, মদদ কিংবা পৃষ্ঠপোষকতায়, সেই তালিকা যখন চুড়ান্ত হবে তখন আওয়ামী লীগের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতাও বিপদে পড়বেন বলে আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বাংলাইনসাইডার

শেয়ার করুন !
  • 97.4K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!