সময় এখন ডেস্ক:
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, জেলহ’ত্যা, ২১ শে আগস্ট এবং বঙ্গবন্ধু হ’ত্যার সঙ্গে যারা জড়িত ও বিদেশে পলাতক, তাদের সবাইকেই দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
রোববার (৩ নভেম্বর) জেলহ’ত্যা দিবস উপলক্ষে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরান কেন্দ্রীয় কারাগারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশে পলাতকরা আমাদের দেশের আইনের আওতায় নেই এবং তারা বিশ্বের যে সকল দেশে অবস্থান করছে, তাদেরকে সেই দেশের আইন অনুযায়ী প্রত্যাবর্তন করতে হবে। আমরা সেই প্রচেষ্টায় রয়েছি। আমরা নেগোশিয়েট (দর কষাকষি) করছি।
শুধু জেলহ’ত্যা নয়, আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধুর খু’নিরাও কিন্তু বিভিন্ন দেশে পালিয়ে আছে এবং পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হাম’লার সঙ্গে জড়িতরাও বিভিন্ন দেশে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদেরও সবাইকে চিহ্নিত করে আনার প্রচেষ্টায় রয়েছি। আমরা আশা করছি, ক্রমান্বয়ে আমরা এদেরকে নিয়ে আসব।
জেলহ’ত্যার ঘটনায় যারা কলকাঠি নেড়েছে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে নিহ’তদের পরিবার।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা দাবি জানিয়েছে, সেগুলো আইন অনুযায়ী বিচার হবে। আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে যে তালিকা এসেছে সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। যে দাবিটি উত্থাপিত হয়েছে সেটি আমাদের কাছে এলে আমরা কাজ করব।
ঢাকা দক্ষিণের বহি’ষ্কার হওয়া যুবলীগ নেতা সম্রাট গ্রেপ্তার হলেও তার সহযোগীদের চাঁদা আদায় এখনও চলছে। সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান বলেন, এই বিষয়ে কথা বলতে হলে তথ্যভিত্তিক কথা বলতে হবে। শুধু সম্রাট কেন, সকলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সে বিষয়গুলো (তিনি) ফলো করবেন।
প্রসঙ্গত, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্য এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগা’রে নিহ’ত জাতীয় চার নেতা হ’ত্যার তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল লন্ডনে। এসব হ’ত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরু’দ্ধে আইন ও বিচারের প্রক্রিয়াকে যে সমস্ত কারণ বা’ধাগ্রস্ত করেছে, সেগুলো তদন্তের জন্য ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।
তবে সেই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের অসহযোগিতার কারণে এবং কমিশনের একজন সদস্যকে ভিসা প্রদান না করায় এ উদ্যোগটি সফল হতে পারেনি। সে সময়ে বাংলাদেশের সরকার প্রধান ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ‘বঙ্গবন্ধু হ’ত্যাকাণ্ড ফ্যাক্টস অ্যান্ড ডুকমেন্টস’ গ্রন্থে এই কমিশন গঠনের বর্ণনা রয়েছে। এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ২ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, মনসুর আলীর পুত্র মোহাম্মদ সেলিম এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আবেদনক্রমে স্যার থমাস উইলিয়ামস, কিউ. সি. এমপি’র নেতৃত্বে এই কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। বাংলাদেশ ও বিদেশে অনুষ্ঠিত জনসভাসমূহে এ আবেদনটি ব্যাপকভাবে সমর্থিত হয়।
161