অর্থনীতি ডেস্ক:
মাত্র ১ দশক আগেও দেশে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজারের কম। বর্তমানে এই সংখ্যা লাফিয়ে ৪ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে দেশে ব্যাংকিং খাতে কোটিপতি পৌনে ২ লাখের বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের গত জুন শেষে ব্যাংক খাতে ১ কোটি টাকার অধিক আমানতকারী ও ঋ’ণগ্রহীতার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৭৫৬ জন। এর মধ্যে আমানতকারী ৮০ হাজার ৩৯৬ জন এবং ঋ’ণগ্রহীতা ৯৬ হাজার ৩৬০ জন।
অন্যদিকে, ২০০৮ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে কোটিপতির সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৩৬৯ জন (আমানতকারী ১৯ হাজার ১৬৩ জন ও ঋ’ণগ্রহীতা ২৫ হাজার ২০৬ জন)।
অর্থাৎ ২০০৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত গত ১০ বছর সময়ে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৮৭ জন। অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে শুধু ব্যাংকিং খাতের কোটিপতির সংখ্যা স্থান পেয়েছে। কিন্তু ব্যাংকিং খাতের বাইরে হিসাব করলে দেশে মোট কোটিপতির সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সাম্প্রতিক ক্যাসিনোবিরো’ধী অভিযানে অনেকের ঘরে কোটি কোটি টাকা গচ্ছিত পাওয়া গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঠানো তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট কোটিপতির সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৮ জন। এর মধ্যে আমানতকারীর সংখ্যা ছিল ৭৫ হাজার ৫৬৩ জন এবং ঋ’ণগ্রহীতার সংখ্যা ছিল ৯১ হাজার ১৬৫ জন।
অর্থাৎ চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে (জুন ২০১৯) মোট কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১০ হাজারের বেশি জন। অথচ ১ দশক আগেও দেশের এ চিত্র ছিল ভিন্ন। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে কোটিপতির মোট সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৩৬৯ জন।
এর মধ্যে আমানতকারী ১৯ হাজার ১৬৩ ও ঋ’ণগ্রহীতা ২৫ হাজার ২০৬ জন। আর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট কোটিপতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭২৮ জন।
সে হিসাবে, গত ১ দশকে দেশে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৩৫৯ জন বা ৪ গুণ। বছরে গড়ে কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে ১২ হাজার ২৩৫ জন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি ছিলেন মাত্র ৫ জন।
327