ভোলা প্রতিনিধি:
ভোলার বোরহানউদ্দিনে এক হিন্দু যুবকের ফেসবুক হ্যাক হওয়ার পর রাফসান ইসলাম শরীফ ওরফে শাকিল এবং মো. ঈমন নামের দুই যুবক কর্তৃক ধর্মীয় উ’স্কানিমূলক পোস্ট দিয়ে এলাকায় উ’ত্তেজনা সৃষ্টির যে ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে, সেখানে ‘কিছু কিছু চেনা মুখ’ এসেছে বলে জানিয়েছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এবার গভীর পর্যবেক্ষণের পর সেই ঘটনায় স্বপন আলম নামে আরও এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। স্বপন উপজেলা ছাত্রদল সভাপতি আশরাফুল আলম সবুজের ভাই। ওই দিন তার নেতৃত্বেই হাম’লা হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ।
শনিবার রাত ১০টার দিকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করে বোরহানউদ্দিন থানার ওসি এনামুল হক বলেন, বোরহানউদ্দিন পৌর এলাকার ২নং ওয়ার্ডের জুবায়ের মাস্টারের ছেলে স্বপন আলম ওই দিন হাম’লার নেতৃত্বে ছিলেন। ভিডিও ফুটেজে তাকে দেখা গেছে।
এর আগে পুলিশের ওপর হাম’লা মামলায় গ্রেপ্তার হন বিএনপি কর্মী মো. আরিফ হাওলাদার, মো. সজিব ও আলামিন (২৫)। এ ছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হয় হ্যাকিং অভিযুক্ত মো. ঈমন ও রাফসান ইসলাম শরীফ ওরফে শাকিল। এ নিয়ে বোরহানউদ্দিনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৭ জন।
পুলিশের ওপর হাম’লার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ হাম’লাকারীদের নেতৃত্বে দিতে দেখা যায় ৪০-৫০ জনকে। এদেরই চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্র জানায়।
প্রসঙ্গত, ভোলার বোরহানউদ্দিনের কাচিয়া গ্রামের হিন্দু পরিবারের সন্তান বিপ্লব চন্দ্রের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে সেখান থেকে ধর্মীয় বিত’র্কিত বার্তা ছড়ানোর হুজুগ তুলে বিক্ষো’ভ মিছিল করার সময় পুলিশ তাতে বাধা দেয়। এতে তাদের সঙ্গে পুলিশের সংঘ’র্ষ শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোঁড়ে।
সংঘ’র্ষে ৪ জন নিহত হন, আহত হন সাংবাদিকসহ অন্তত শতাধিক। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিজিবি ও কোস্টগার্ড। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫ হাজার জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে।
782