দুদক কর্মকর্তা ২ বছর ধরে অসুস্থ, ৫ বছরেও নিষ্পত্তি হয়নি ২৩ কোটি টাকার সার গায়েব মামলা

0

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

ভৈরবে বিএডিসি গুদামের ২৩ কোটি টাকার সার গায়েব মামলার বিচার কাজ ৫ বছরেও শেষ হচ্ছে না। ৩৬ জন সাক্ষীর মধ্য ৩০ জনের সাক্ষ্য গত বছরই শেষ হয়েছে।

কিন্তু গত ২ বছর যাবত দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা পাল কমল চন্দ্র শারীরিক অ-সুস্হতা দেখিয়ে আদালতে সাক্ষী দিতে উপস্থিত হচ্ছে না। মাস আগে কয়েক একবার আদালতে উপস্থিত হয়ে আংশিক সাক্ষ্য দিলেও পরবর্তী আবারও অ-সুস্থতা দেখিয়ে দুটি তারিখে হাজির হননি।

একই কারণ দেখিয়ে সর্বশেষ গত ৩০ অক্টোবরও সাক্ষ্য দিতে আদালতে আসেনান তিনি। ফলে বিচারক আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন। ময়মনসিংহ দুদক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মামলায় ৭ আসামির মধ্য ১ নম্বর আসামি গুদামরক্ষক চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে মৃ’ত্যুবরণ করায় মামলার বিচার নিয়েই সং’শয় দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৪ নভেম্বর ভৈরব বিএডিসি গুদাম থেকে ২৩ কোটি টাকা মূল্যের ৯৬ হাজার ২০০ বস্তা সার গায়েব হয়ে যায়। ঘটনাটি ৩ দিন পর, ১৭ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ হলে কর্তৃপক্ষ সেদিনই গুদামটি সিলগালা করে দেয়। এ সময় পালিয়ে যান গুদামরক্ষক খোরশেদ আলম ও ভারপ্রাপ্ত সহকারী পরিচালক (সার) মো. রেজাউল করিম।

এ ঘটনায় সংস্থার যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ বাদী হয়ে ভৈরব থানায় দু’জনের বিরু’দ্ধে মামলা করেন। পরবর্তীতে মামলাটি ময়মনসিংহ দুদকের সহকারী পরিচালক পাল কমল চন্দ্রকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

তদন্ত শেষে কিশোরগঞ্জ আদালতে ৭ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন তিনি। তারা হলেন- গুদামরক্ষক খোরশেদ আলম, সহকারী পরিচালক (সার) রেজাউল করিম, বিএডিসির সাবেক যুগ্ম- পরিচালক আ. আহাদ, সার ডিলার হারিছুল হক, লিটন সাহা, সবুজ মিয়া ও গুদামের সর্দার রতন মিয়া।

তাদের মধ্যে খোরশেদ আলম ও রেজাউল করিমকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে বাকি আসামিরা ময়মনসিংহ আদালতে হাজির হয়ে আত্ম’সমর্পণ করে উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন অ্যাডভোকেট সঞ্জীত কুমার সঞ্জু, দুদকের পক্ষে অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন মাহমুদ। অপরদিকে আসামি পক্ষে আছেন অ্যাডভোকেট বিশ্বনাথ বণিকসহ একাধিক আইনজীবী।

মামলার বাদী মো. শহীদুল্লাহ সোমবার জানান, গত ২ বছরে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য আদালত ১০ বার নোটিশ পাঠায়। কিন্ত বার বার অ-সুস্হতা দেখিয়ে তিনি উপস্থিত হচ্ছেন না। গত ৪ মাস আগে আদালতে এসে আংশিক সাক্ষ্য দিয়ে গেলেও গত ২টি তারিখে আসেননি।

তিনি বলেন, মামলার প্রধান আসামি খোরশেদ আলমের মৃ’ত্যুর পুলিশি রিপোর্ট পেতেই ৬ মাস লেগেছে। এসব নানা কারণে বিচার কাজে বিলম্ব হচ্ছে।

শেয়ার করুন !
  • 189
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!