আইন আদালত ডেস্ক:
বাজারে প্রাপ্ত বিভিন্ন কোম্পানির চিপসের প্যাকেটের মধ্যে ফ্রি তে দেয়া শিশু খেলনা রাখার ওপর নিষে’ধাজ্ঞা চেয়ে একটি রিট দায়ের হয়েছে। একই সঙ্গে খেলনাযুক্ত যেসব চিপস বাজারজাত করা হয়েছে তা প্র’ত্যাহারেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট পিটিশনটি দায়ের করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
মনিরুজ্জামান বলেন, বিষয়টির ওপর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হতে পারে।
আবেদনে চিপস এর প্যাকেটের ভেতরে ক্ষুদ্রাকৃতির এই শিশু খেলনাগুলো না ঢুকাতে শিশুখাদ্য উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোকে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জনানো হয়েছে। পাশাপাশি যারা চিপস এর প্যাকেট খেলনাসহ বাজারজাত করেছে সেসব প্রতিষ্ঠানের প্যাকেট প্র’ত্যাহার করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
মনিরুজ্জামান জানান, অ্যাবসেন্ট মাইন্ডে (অন্যমনস্ক অবস্থায়) বাচ্চারা যখন চিপস খায় তখন খেলনাটা তাদের পেটের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। এটা খুবই অ্যালার্মিং (ভী’তিকর)। প্রতিবেশী দেশে এমন ঘটনায় দুটা বাচ্চা মা’রা গেছে বলে আমরা প্রতিবেদন পেয়েছি।
আমরা আশ’ঙ্কা করছি যে, আমাদের দেশের কোনো শিশু চিপসের প্যাকেটে যে প্লাস্টিকের খেলনা থাকে সেটা খাওয়ার পরে হয়তো এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। প্রিভেনশন ইজ বেটার দ্যান কিউর (প্র’তিকারের চেয়ে প্রতিরো’ধই উত্তম)। এ কারণে রিটটি করা হয়েছে।
রিটে বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, এম এম ইস্পাহানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটি এবং ইনগ্রিন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও হেড অব মার্কেটিংকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারী আইনজীবী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা এম এম ইস্পাহানির ‘মাইটি চিপস’ ও ইনগ্রিনের ‘ডরে ডরে চিপস’র প্যাকেটে খেলনাগুলো পেয়েছি। হয়ত আরও আছে যেগুলো অ-গোচরে রয়ে গেছে। কোনো কোম্পানি চিপসের প্যাকেটের মধ্যে খেলনা দিয়ে মার্কেটিং করতে না পারে সেজন্যই রিট আবেদন।
43