স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট তুমুল জনপ্রিয় করে তোলার পেছনে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) রয়েছে অনন্য অবদান। ম্যাচ রোমাঞ্চকর করে তুলতে এরই মধ্যে অনেক নিয়মের প্রচলন ঘটিয়েছে তারা। এবার আরেকটি নতুন নিয়ম চালুর কথা ভাবছে লিগ কর্তৃপক্ষ।
প্রচলিত নিয়মানুযায়ী, ১১ জন করে ক্রিকেটার নিয়ে মাঠে নামে দলগুলো। আগামী আসরে ১৫ জন নিয়ে ম্যাচ শুরুর কথা ভাবছে তারা। নতুন পদ্ধতিতে প্রয়োজনে বদলি হিসেবে একজন খেলোয়াড় মাঠে নামতে পারবেন।
খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতেই এ নিয়মের আশ্রয় নিচ্ছে আইপিএল। একে পাওয়ার প্লেয়ার বলছে তারা। অবশ্য ফুটবলে আগে থেকেই এ নিয়ম চালু আছে।
তবে সিদ্ধান্তটা এখনো কার্যকর হয়নি। প্রাথমিকভাবে এমন চিন্তাভাবনা করছে আইপিএল গভর্নিংবডি। এখন চূড়ান্তভাবে অনুমোদনের অপেক্ষা। পাওয়ার প্লেয়ার প্রসঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, আমরা আইপিএলে নতুন দৃশ্যপট চাচ্ছি।
যাতে একটি দল ১১ জনের একাদশ ঘোষণা করতে পারবে না। তারা দেবে ১৫ জনের দল। অবশ্য মাঠে খেলবে ১১ জনই। তবে দরকারে সেই স্কোয়াড থেকে একজন প্লেয়ারকে যেকোনো সময় বদলি হিসেবে মাঠে নামানো যাবে। সেটা হতে পারে ১ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কিংবা ওভারের শেষে।
এর আগে এ নিয়ম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করতে চায় বিসিসিআই। মুশতাক আলি ট্রফিতে সেই ধারণার প্রয়োগ ঘটাতে চায় তারা। ম্যাচের টার্নিং পয়েন্টে এটি কার্যকর হতে পারে বলে ধারণা করছে বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশের কাছে ভারতের হার, ট্রলের মুখে শেবাগ
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সিরিজের আগে একটি বিত’র্কিত বিজ্ঞাপন বানিয়েছে ক্রীড়াভিত্তিক ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার স্পোর্টস। তাতে টাইগারদের ব্য’ঙ্গ করা হয়েছে। ব্য’ঙ্গাত্মক এ বিজ্ঞাপনে মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভারতীয় সাবেক ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ।
টি-টোয়েন্টিতে কখনই ভারতকে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। মূলত সেটিকে থিম করে এ প্রমো ভিডিও বানিয়েছে স্টার স্পোর্টস। তাতে শেবাগকে বলতে শোনা গেছে, কোহলি না থাকতেই এত উড়ছে, যদি টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো জিতে যায়; তা হলে যে কী করবে কে জানে?
এরই মধ্যে স’মুচিত জবাব পেয়ে গেছেন শেবাগ। ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। গেল রোববার দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে ৩ বিভাগেই সফরকারীদের কাছে উড়ে গেছে স্বাগতিকরা। সিরিজে ব্যাকফুটে ভারত, আর ১-০তে এগিয়ে বাংলাদেশ।
এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়া টুইটারে ট্রলের শি’কার হচ্ছেন বীরু। যে যার মতো করে তাকে ধুয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্টরা। একের পর এক মিম বানিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন তারা। আল নাঈম লিখেছেন, হ্যালো শেবাগ, বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে গেছে। এখন আপনি কী করবেন? নাটক অথবা টুইট?
অর্নব তানভীর লিখেছেন, বীরেন্দ্র শেবাগ কোথায়? এ. এন. এম মর্তুজা লিখেছেন, অভিনন্দন বিসিবি টাইগার্স। বিসিসিআই’র বি’পক্ষে প্রথম জয়। হাই শেবাগ! বাংলাদেশ থেকে আমার ভালোবাসা গ্রহণ করবেন।
সৌরভ মণ্ডল লিখেছেন, এসব বিজ্ঞাপন করা বাদ দিন শেবাগ পাজি।