আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বিদেশ থেকে যে গরু আনা হয়, তা ‘হাম্বা’ স্বরে ডাকে না। আর যে গরু ‘হাম্বা’ স্বরে ডাকে না, সে গরু কখনই গো-মাতা নয়, ওটা আন্টি। আর আন্টির পুজো করে দেশের কল্যাণ হবে না।
সোমবার (৪ নভেম্বর) বর্ধমান শহরের টাউনহলে ‘ঘোষ এবং গাভীকল্যাণ সমিতি’র সভায় এ কথা বলেন তিনি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে কলকাতার শীর্ষ দৈনিক আনন্দবাজার।
এ সময় গরুর দুধে সোনা রয়েছে জানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, গরুর দুধে সোনার ভাগ থাকে। তাই দুধের রং হলুদ হয়।
শুধু বক্তব্য দিয়ে নয়, তিনি তার বক্তব্যের সপক্ষে বেশ কিছু ‘তথ্য’ দিয়েছেন। বক্তব্যের কারণ বিশ্লেষণ করে তিনি বলেন, দেশি গরুর কুঁজের মধ্যে স্বর্ণ-নাড়ি থাকে। যাতে সূর্যের আলো পড়লে, সেখান থেকে সোনা তৈরি হয়। তারপর সেই সোনা অন্যান্য নালির মাধ্যমে গরুর দুধে চলে যায়।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এসব বক্তব্য নিয়ে দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক হাস্যরস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে নিয়ে মিম বানানো হচ্ছে, ট্রল করা হচ্ছে দেদারসে।
এর আগে উত্তরাখণ্ডের বিজেপি মন্ত্রী রেখা আর্য দাবি করেছিলেন, গরুই একমাত্র পশু, যে শ্বাস গ্রহণের সময় শুধু অক্সিজেন গ্রহণ করে না, প্রশ্বাসের সঙ্গে তা পরিবেশে ফিরিয়েও দেয়।
বিজেপির আরেক সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা জানান, তিনি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন। গোমূত্র পান করে আর পঞ্চগব্য গ্রহণ করে নিজেকে সারিয়ে তুলেছেন। যদিও এ বক্তব্যের বিরো’ধীতা করে পাল্টা বক্তব্য দিয়েছিলেন তাকে চিকিৎসা করে সারিয়ে তোলা ক্যানসার হাসপাতালের চিকিৎসকবৃন্দ।
আনন্দবাজার পত্রিকায় দিলীপ ঘোষকে নিয়ে করা ওই প্রতিবেদনে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্যবিকাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন তরুণকুমার মাইতিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, গরুর দুধে অনেক কিছুই থাকে। তবে সোনা আছে বলে শুনিনি।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস’-এর কর্মকর্তা তড়িৎ রায়চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর কোথাও গরুর দুধের রাসায়নিক বিশ্লেষণে সোনা মিলেছে বলে জানা নেই।
