বঙ্গবন্ধুর খু’নি রাশেদকে ফেরত পাঠাতে নথিপত্র চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

0

সময় এখন ডেস্ক:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হ’ত্যার ফাঁ’সির রায় পাওয়াা আসামি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে বিচারের কাগজপত্র চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী এলিস ওয়েলসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান ড. মোমেন।

বারবার রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত চাওয়া হলেও এবারই কিন্তু প্রথমবার ওয়াশিংটন এই বিষয়ে ঢাকার কাছে নথিপত্র চেয়েছে বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সফররত যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীর সঙ্গে খুব আন্তরিক পরিবেশে বৈঠক হয়েছে। আমি তাকে বলেছি, তোমরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করো, আমরাও তা করি। বঙ্গবন্ধুর আত্ম’স্বীকৃত খু’নি, রাশেদ চৌধুরী- তোমাদের ওখানে পালিয়ে আছে। তাকে তোমরা ফিরিয়ে দিচ্ছ না কেন? তাকে তোমরা ফিরিয়ে দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়তা কর।

তিনি বলেন, এর আগে এ ধরনের প্রস্তাবে কোনো সাড়া না মিললেও এবার ব্যতিক্রম দেখা গেছে। এলিস ওয়েলস রাশেদ চৌধুরীর মামলার রায়ের কাগজপত্র পাঠাতে বলেছেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হ’ত্যার দায়ে ফাঁ’সির সাজাপ্রাপ্ত আসামি রাশেদ চৌধুরী দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে আছে। ১৯৯৮ সালে নিম্ন আদালতের রায়ে অন্য আসামিদের সঙ্গে পলাতক অবস্থায় তাকেও মৃ’ত্যুদ’ণ্ড দেওয়া হয়।

২০০৯ সালে উচ্চ আদালত ১২ জন কর্মকর্তার রায় বহাল রাখেন। ৬ জনের ফাঁ’সি কার্যকর হলেও রাশেদ চৌধুরীসহ বিদেশে পলাতক অন্যদের রায় কার্যকর হয়নি।

বাংলাদেশে যেন আর খু’নিদের রাজত্ব না হয়: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে যেন আর খু’নিদের রাজত্ব না হয়। যারা খু’নি, সন্ত্রা’সী, মুক্তিযো’দ্ধা হ’ত্যাকারী তাদের হাতে যেন ক্ষমতা না যায়। দেশ উন্নয়নের যে গতিতে চলছে সে গতি যেন অ-ব্যাহত থাকে। জনগণকে সে খেয়াল রাখতে হবে।

গত রোববার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৫ আগস্ট যখন বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হ’ত্যা করা হয়েছিল তখন অনেকে ভেবেছে পরিবারকে নিঃশেষ করার জন্যই এ হ’ত্যাকাণ্ড। কিন্তু ৩ নভেম্বর যখন জেলখানায় ৪ নেতাকে হত্যা করা হলো তখন বাংলার মানুষ পরিষ্কারভাবে বুঝতে পেরেছিল এটা স্বাধীনতাবিরো’ধী পরাজিত শক্তির কাজ।

শেয়ার করুন !
  • 1.6K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!