৪র্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধ-র্ষণ করায় স্কুলশিক্ষক গ্রেপ্তার

0

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধ-র্ষণের অভিযোগে স্কুল শিক্ষক সালাহ উদ্দিনকে কারাগা’রে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে ওই শিক্ষককে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে কারাগা’রে পাঠানো হয়। সালাই উদ্দিন উপজেলার হারুন মোল্লারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ভিক্টিম ছাত্রী একই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে।

পুলিশ জানায়, স্কুল চলাকালীন সময় ওই ছাত্রীকে সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে ধ-র্ষণ করে সালাহ উদ্দিন। বিকেলে ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি তার মাকে জানায়।

পরে সন্ধ্যায় তার মা বাদী হয়ে শিক্ষক সালাহ উদ্দিনের বিরু’দ্ধে রামগতি থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়ন থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে।

রামগতি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিসুল হক বলেন, শিক্ষকের বিরু’দ্ধে ছাত্রীর মা মামলা করেছে। গ্রেপ্তার করে ওই শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগা’রে পাঠানো হয়েছে।

৫ম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে ধ-র্ষণ করলো ৬০ বছরের বৃদ্ধ!

পটুয়াখালীতে ৫ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১২) ধ-র্ষণের অভিযোগে মো. মোতালেব মোল্লা (৬০) নামে এক বৃদ্ধের নামে মামলা হয়েছে। গত ২৯ অক্টোবর দুপুরে সদর উপজেলার খলিসাখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে এ ঘটনায় গত ৩ নভেম্বর মামলা হয়েছে। আসামী পলাতক রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে ওই ছাত্রীর পরীক্ষা চলছিল। দুপুরে পরীক্ষা শেষ করে সে বাড়ি আসে। পর বান্ধবীর সঙ্গে বাড়ির সামনে ঈদগাহের মাঠে খেলতে যায়। এ সময় মোতালেব মোল্লা তাকে ৫ টাকার বিনিময়ে বাসার জন্য এক কলস পানি আনতে বলে এবং তাকে ও তার বান্ধবীকে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার বান্ধবীকে বাইরে বসিয়ে রাখে।

এরপর মোতালেব মোল্লা ওই ছাত্রীকে ঘরের মধ্যে নিয়ে ধ-র্ষণ করে। পরে এক প্রতিবেশী নারী ঘরের পাশে টিউবওয়েলে পানি আনতে গেলে ঘরের মধ্যে ওই ছাত্রীর ও মোতালেবের কথা শুনতে পান। ছাত্রীটি তখন কাঁদছিল।

পরে ওই নারী ভিক্টিম ছাত্রীর মাকে বিষয়টি জানালে তার মা দ্রুত মোতালেব মোল্লার ঘরের সামনে এসে দরজা খুলতে বলে এবং ঘটনা দেখে ফেলেন।

ভিক্টিম ওই ছাত্রীর দাদি ও মামলার বাদী জানান, আসামি মোতালেব অনেক প্র’ভাবশালী। এ ঘটনা যেন আমরা কাউকে না জানাই এজন্য সে মিথ্যা মামলার ভয় দেখায়। পরে ৩ নভেম্বর মোতালেব ঢাকায় গেলে আমরা মামলা করি। তখন মোতালেব মোল্লা পালিয়ে যায়।

পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ধ-র্ষণ মামলা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!