সময় এখন ডেস্ক:
রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃ’ত্যুতে দৈনিক প্রথম আলোর দায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ কীভাবে এমন ঘটনা ঘটায় এ প্রশ্নও তোলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে অসুস্থ, অ-সচ্ছ্বল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিক এবং নিহ’ত সাংবাদিক পরিবারের সদস্যদের বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আয়োজকদের অব-হেলার কারণে আবরারের মৃ’ত্যু হয়েছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ মৃ’ত্যু অবশ্যই গ’র্হিত অপরাধ, এটি বরদাশত করা যায় না।
তিনি বলেন, যারা অনুষ্ঠান আয়োজন করে, তাদের একটি দায়িত্ব থাকে। রেসিডেন্সিয়ালে একটি ঘটনা ঘটল, আয়োজকরা এটাকে এতটা নেগলেক্ট করেছে! বাচ্চাটা মা’রা গেছে, এর পরও ঘটনাটা চাপা দিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে গেছে। ধানমণ্ডিতে এতগুলো হাসপাতাল, তবু মহাখালীতে নিয়ে গেল। প্রথম আলো এ ধরনের একটি ঘটনা কীভাবে ঘটায়? তাদের কোনো রেসপন্সিবিলিটি নেই? ছোট ছোট বাচ্চারা এখানে পড়াশোনা করছে। তাদের নিরাপত্তা না দেখা এটিও তো গ’র্হিত অপরাধ। এটি তো বরদাশত করা যায় না।
প্রসঙ্গত, ১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিল ওই স্কুলের ছাত্র আবরার। অনুষ্ঠান চলাকালে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হয় সে। তাৎক্ষণিকভাবে ওই মাঠে স্থাপিত জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পের দুজন বিশেষজ্ঞ (এফসিপিএস) চিকিৎসক নাইমুলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এর পর তাকে মহাখালীর বেসরকারি ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবরারকে মৃ’ত ঘোষণা করেন।
বুধবার দৈনিক প্রথম আলো ও সাময়িকী কিশোর আলোর প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরু’দ্ধে মামলা করেন আবরারের বাবা মো. মজিবুর রহমান। মামলা গ্রহণ করে আবরারের লা’শ উত্তোলন ও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল হক। আবরারের লা’শ উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আবরারের বাবা বলেন, এই মৃ’ত্যুকে দুর্ঘটনা হিসেবে মেনে নেয়ার জন্য আমাকে চাপ দেয়া হয়। আমাকে ভুল বুঝিয়ে তড়িঘড়ি করে ডেডবডি রিসিভ করে বাড়িতে নিয়ে দাফন করে অপমৃ’ত্যুর অভিযোগ করতে বলা হয়।