বিএনপি নেতা সাইফুলকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা লোপাটের দায়ে সাজা দিল বার কাউন্সিল

0

বগুড়া প্রতিনিধি:

বগুড়া অ্যাডভোকেটস বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম সাইফুল ইসলামের বিরু’দ্ধে বারের বিভিন্ন কাজে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা লোপাটের ঘটনা প্রমাণ হয়েছে।

এ জন্য সাধারণ সভায় তাকে কারণ দর্শানো নোটিশ, দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকাসহ বিভিন্ন শা’স্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। দুর্নীতির ঘটনায় বারের সদস্যদের মাঝে বি’রূপ প্রতি-ক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সমিতিতে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

বগুড়া অ্যাডভোকেটস বার সমিতির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলাম ২০১৮ সালে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় তিনি বার ভবনের সামনে প্রবেশ পথে টিনের ছাউনি নির্মাণ, ড্রেনের স্ল্যাব, লাইব্রেরিতে বিদ্যুতের কাজ, সিমেন্ট ক্রয়, বৈদ্যুতিক ডাবল লাইনের সংযোগসহ অন্যান্য কাজ করেন। এসব কাজে অ’নিয়মের অভিযোগ ওঠে।

অডিটে ত্রু’টি ধরা পড়লে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই তদন্ত রিপোর্টে সাধারণ সম্পাদকের বিরু’দ্ধে ৫ লাখ ২৬ হাজার ৭২২ টাকা লোপাটের ঘটনা ধরা পড়ে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার ক্রয় দেখানো হলেও নেসকো এর বিনিময়ে কোনো টাকা নেয়নি।

গত ৫ নভেম্বর গওহর আলী ভবনে বার সমিতির সাধারণসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে গোলাম ফারুক, আবদুল বাছেদ, আশেকুর রহমান সুজন, মিশকাতুল আলম চিশতি, শের আলী, নরেশ মুখার্জি, এএইচএম গোলাম রব্বানী খান রোমান, ফজলুল বারী ইন্টু, আতাউর রহমান খান মুক্তা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আলোচনা শেষে সভাপতির বক্তব্যে আতাউর রহমান সাধারণ সম্পাদক একেএম সাইফুল ইসলামের দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরেন।

সর্বসম্মতিতে ২০১৮ সালে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা একেএম সাইফুল ইসলামকে কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয়। এ সময় তার কল্যাণ তহবিল থেকে লোপাটাকৃত টাকা কর্তন করে জমা রাখা এবং তার বিরু’দ্ধে বারের সংবিধান অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ ছাড়া আগামী নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাকারিয়া সুজনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ফোন না ধরায় এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও বার সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলামের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে তিনি গণমাধ্যমে তার বিরু’দ্ধে আনা সব অভিযোগ অ-স্বীকার করে বলেছেন, সাধারণসভায় বক্তব্য দিতে না দেয়ায় ওয়াক আউট করেছেন। তিনি কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দেবেন।

বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান জানান, সাধারণসভায় ৪৫০ সদস্যের উপস্থিতিতে উল্লিখিত সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন !
  • 138
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!