ভূমি অফিসে বসে ইয়া-বা সেবন, সেই কর্মকর্তাকে প্র’ত্যাহার

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে অফিস চলাকালীন সময়ে এক কর্মকর্তার ইয়া’বা সেবন করার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় তাকে প্র’ত্যাহার করা হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম সমীর কুমার চক্রবর্তী। তিনি প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত।

প্র’ত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শের মাহাবুব মুরাদ। সেই সঙ্গে ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ওই কর্মকর্তার বিরু’দ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইয়া’বা সেবনে ১৫ সেকেন্ডের ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে ফুলপুরসহ জেলাজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। ফুলপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এর কার্যালয়ে প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক পদে ২০১৬ সালের মার্চ মাসে যোগদান করেন তিনি। এ উপজেলায় প্রায় ৪ বছর ধরে কর্মরত আছেন সমীর কুমার চক্রবর্তী।

দীর্ঘদিন ধরে ফুলপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে ইয়া’বা সেবনসহ বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ ছিল এলাকার মানুষের মুখে মুখে। অবশেষে ইয়া’বা সেবনের ভিডিও’র মাধ্যমে তা প্রমাণিত হয়।

ভিডিওটিতে দেখা যায়, অফিসের চেয়ারে বসে তার কয়েকজন সহকর্মীর সহযোগিতায় সমীর কুমার ইয়া’বা সেবন করছেন। এ ব্যাপারে সমীর কুমার চক্রবর্তী কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো কথা নেই; এরপরই কলটি কে’টে দেন।

ইউএনও বাজারে ঢুকতেই ৩০ টাকা কমে গেল পেঁয়াজের দাম!

বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আখতার পেঁয়াজের বাজারে অভিযান শুরু করেছেন। তাকে বাজারে ঢুকতে দেখে মুহূর্তেই কেজিতে পেঁয়াজের দাম ৩০ টাকা কমে যায়।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে নন্দীগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বর্তমানে ২১০ টাকা দরে বিক্রি করে আসছেন স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীরা। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষো’ভের সৃষ্টি হয়।

শুক্রবার দুপুরে ইউএনও শারমিন আখতার হঠাৎ রণবাঘা ও ওমরপুর হাটে অভিযানে যান। এতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২১০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৮০ টাকা বিক্রি শুরু করেন বিক্রেতারা। পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ টাকা কম হওয়ায় ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।

তবে এই দাম বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ইউএনওর অভিযান শেষ করে যাওয়ার পরই ফের আবারও বাড়তি দামে বিক্রি শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। যার ফলে বেশির ভাগ ক্রেতা মলিন মুখে পেঁয়াজ না কিনে ফিরে যান।