ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুলছাত্রীকে ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্র ধ-র্ষণ করেছে। গতকাল শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাতে দিকে শৈলকুপা উপজেলার গাবলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভিক্টিম ভাটই মাধ্যমিক বিদ্যায়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।।
ছাত্রী জানায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পড়া শেষ করে বাড়ির পাশে তার বাবা-মাকে ডাকতে যাচ্ছিল। ওই সময় ওঁ’ৎ পেতে থাকা একই গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে একই বিদ্যায়ের ৭ম শ্রেনীর ছাত্র রিফাত ও তার ৩ জন সহযোগী তাকে তুলে নিয়ে ধ-র্ষণ করে।
পরিবারের লোকজন ওই স্কুলছাত্রীকে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে বাড়ির পাশের কলাবাগানে অ-চেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মার্ফিয়া ভিক্টিমের ডাক্তারী পরীক্ষা করে জানান, ছাত্রীটি ধ-র্ষিত হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমান বলেন, স্কুলছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। পলাতক রিফাতকে ধরার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।
শিশুকন্যাকে ঘুমের ও’ষুধ খাইয়ে ধ-র্ষণ করত বাবা মাসুক মিয়া!
সিলেটের ওসমানীনগরে দীর্ঘদিন ধরে বাবার দ্বারা ধ-র্ষিত হয়ে আসছে এক মাদ্রাসাছাত্রী (১৪)। উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের রাইকদারা (নোয়াগাঁও) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনা জানাজানি হলে বাবা মাসুক মিয়া (৪২) পলাতক ছিল। পরে গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতে তাকে সিলেট মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ওসমানী নগর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় কিশোরীর চাচী ওসমানীনগর থানায় মামলা করেছেন।
জানা যায়, ভিক্টিম স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থী। গত রমজানে ছুটিতে বাড়ি এসে প্রায় দেড় মাস অবস্থান করে। এ সময় তার বাবা মেয়েকে একা পেয়ে একাধিকবার কু-প্রস্তাব দেয়। মে’রে ফেলার হুম’কি দিলেও বাবার কথায় রাজি হয়নি সে। পরে মাসুক মিয়া মেয়েকে ঘুমের ও’ষুধ খাইয়ে রাতে ধ-র্ষণ করে।
পরদিন ঘুম থেকে উঠে মেয়েটি বুঝতে পারে। কিন্তু ভয়ে বিষয়টি গোপন রেখে মেয়েটি মাদ্রাসায় ফিরে যায়। পরে ঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়ি এলে আবারও একই কাজ করে মাসুক মিয়া।
এতদিন ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখলেও গত মঙ্গলবার মেয়েটি বাড়িতে ফিরে ঘটনাটি তার বড় চাচীকে জানায়। এ ঘটনায় বুধবার রাতে চাচী তাকে নিয়ে থানায় হাজির হয়ে ধ-র্ষণ মামলা করেন। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে পলাতক থাকে মাসুক। পরে ওসমানীনগর থানা পুলিশের অভিযানে মেয়েটির বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলার বাদী চাচী বলেন, প্রায় ৬ বছর আগে মেয়েটির মা ৪ কন্যা সন্তান রেখে মারা গেলে তার বাবা আরও ২টি বিয়ে করে। কিন্তু বনিবনা না হওয়ায় পরের বিয়েগুলো ভে’ঙে যায়। ভিক্টিম মেয়েসহ তারা ৩ বোন মাদ্রাসায় থেকে লেখাপড়া করছে এবং ছোটটি আমার কাছে রয়েছে। বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা থেকে ফিরে এসে রাতে ঘুমানোর জন্য মেয়েটি তার বাবার সাথে থাকতে অ-সম্মতি জানায়। কারণ জানতে চাইলে, বর্ণনা শুনে হতবাক হয়ে যাই। পরে পুলিশের কাছে ধ-র্ষণের অভিযোগ করি।
ওসমানীনগর থানার ওসি এসএম আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়েরর পর ওসমানীনগর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ধ-র্ষক বাবকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে।