খুলনায় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি, হযরত আলীকে ১ লক্ষ টাকা জরি’মানা

0

খুলনা প্রতিনিধি:

অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় খুলনার বড় বাজারে মো. হযরত আলী নামের এক ব্যবসায়ীকে ১ লাখ টাকা জরি’মানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার শহরের বড় বাজার এলাকায় পেঁয়াজের আড়ৎ সোহেল ট্রেডার্সে অভিযান চালিয়ে এ জরি’মানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান জানান, শুক্রবার রাতে পেঁয়াজ ব্যাপারী হয়রত আলী চট্টগ্রাম থেকে খুলনার বড় বাজার মোকামে এক গাড়ি পেঁয়াজ নিয়ে আসে। ওই পিয়াজের ক্রয় মূল্য ছিল ১৫৬ টাকা। ট্রাক ভাড়া, আনুষাঙ্গিক খরচ মিলে প্রতি কেজির মূল্য দাড়ায় ১৭৬ টাকা।

কিন্তু ওই ব্যবসায়ী আড়তে এই পিয়াজ ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রিমূল্য নির্ধারণ করেন। পরে খবর পেয়ে সোহেল ট্রেডার্সে অভিযান চালিয়ে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে ১ লাখ টাকা জরি’মানা, অ-নাদায়ে ৩ মাসের কারাদ’ণ্ড প্রদান করা হয়। জরি’মানার টাকা তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা হয়েছে।

১৬ মেট্রিক টন পচা পেঁয়াজ ফেলা হয়েছে কর্ণফুলীতে!

চট্টগ্রাম নগরীর খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন ডাস্টবিনে ও ফিরিঙ্গীবাজার এলাকার কর্ণফুলী নদীতে বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ ভাসছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীরা জানান, গত ৩ দিন ধরে খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেটের গুদাম থেকে ফেলা ১৫ থেকে ১৬ মেট্রিক টন পচা পেঁয়াজ তারা অপ-সারণ করেছেন।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম চ্যাপটারের সভাপতি নাজের হোসাইন বলেন, বাজারে সরবরাহ সং’কট তৈরি করে দাম বাড়ানোর জন্য অ-সাধু ব্যবসায়ীদের চক্র এসব পেঁয়াজ মজুদ করে রেখেছিলেন। মজুদ করা পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় সেগুলো এখন আবর্জনার স্তুপে ফেলা হচ্ছে।

শনিবার নগরীর খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন মার্কেটে পেঁয়াজের গুদাম ও পাইকারি বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে বস্তায়-বস্তায় পচা পেঁয়াজ দেখা গেছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত খাতুনগঞ্জ সংলগ্ন চাক্তাই খালপাড় ও কর্ণফুলী নদীতে এবং পাড়ে ফেলা হয় কয়েক’শ পেঁয়াজের বস্তা।

নগরীর ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ডের পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক আহমদ ছফা বলেন, খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মার্কেট, প্রধান রাস্তা, চাঁন মিয়া বাজার ও মধ্যম চাক্তাই এলাকায় পচা পেঁয়াজ পেয়েছি। ৪টি ট্রাকে করে আমরা সেগুলো আরেফিন নগরে ময়লার ভাগাড়ে ফেলেছি।

ক্যাবের কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ তদারকির অভাবে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা মজুদদারির সুযোগ নিয়েছে। মজুদের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ সং’কট তৈরি করে বাড়তি মুনাফা হাতিয়ে নিচ্ছে তারা। মজুদ করা যেসব পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারেনি, পচে গেছে, সেগুলো এখন ভাগাড়ে ফেলা হচ্ছে।

শেয়ার করুন !
  • 145
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!