বান্দরবান প্রতিনিধি:
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে মা’দক চোরা-কারবারিদের ক্রসফায়ারে ২ রোহিঙ্গা নিহ’ত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আগ্নে’য়াস্ত্র ও ৪০ হাজার ইয়া-বা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ রোববার সকালে উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহ’তদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, নিহ’তরা মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক।
এ বিষয়ে সকালে গণমাধ্যমকে বিজিবি-৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ জানান, জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু-চম্পাকাটা সীমান্ত এলাকায় মা’দক চোরা-কারবারি চক্রের সদস্যদের অবস্থানের খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে অভিযান চালায়।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে মা’দক চোরা-কারবারি চক্র বিজিবি টহল দলের লক্ষ্য করে গু’লি ছোঁড়ে। বিজিবি সদস্যরাও আত্ম’রক্ষার্থে পাল্টা গু’লিবর্ষণ করলে দু’পক্ষের মধ্যে গু’লি বিনিময়ের ঘটনা ঘটে। এ সময় বিজিবির গু’লিতে ২ মা’দক চোরা-কারবারি চক্রের সদস্য মারা যায়।
ঘটনাস্থল থেকে ১টি অত্যাধুনিক শটগান ও ৪০ হাজার ইয়া-বা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, চম্পাকাটা সীমান্তে টহলে যাওয়া বিজিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে গু’লি ছোঁড়ে চোরা-কারবারি চক্র। এ সময় আত্ম’রক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরা পাল্টা গু’লি চালালে গোলাগু’লিতে ২ জন নিহ’ত হয়।
ঘটনাস্থল থেকে নিহ’তদের ডেডবডি এবং মা’দকদ্রব্য ও আগ্নে’য়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার।
প্রসঙ্গত, ১১ নভেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে চোরা-কারবারি চক্রের আরও এক দফা গোলাগু’লির ঘটনা ঘটে। এতে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়ানের নিয়ন্ত্রিত বাইশফাঁড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সিপাহি মৃত্যুঞ্জয় এবং সিপাহি ফরিদ উদ্দিনের পায়ে গু’লি লাগে।
ক্রসফা’য়ারে রোহিঙ্গা যুবক নিহ’ত, সোয়া লাখ ইয়া’বা ও অ’স্ত্র উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সঙ্গে মা’দক কারবারিদের মধ্যে সংঘটিত গোলাগু’লিতে ১ রোহিঙ্গা যুবক নিহ’ত হয়েছে। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ভোররাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় নাফ নদী সংলগ্ন ছ্যুরি খালে এ ঘটনা ঘটে।
নিহ’ত রোহিঙ্গা যুবক নুর কবির (২৮) মিয়ানমারের নাগরিক মোতালেবের ছেলে। অপরদিকে ইয়া-বা পাচা’রকারীদের গু’লিতে ২ বিজিবি সদস্যও আহত হয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থল হতে সোয়া লাখ পিস ইয়া’বা ও গু’লিসহ একটি আগ্নে’য়াস্ত্র উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে বিজিবি।
টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সাল হাসান খান জানান, ছ্যুরি খালের কিনারায় কেওড়া বাগানের ভেতরে কয়েকজন ব্যক্তি কাদা মাটিতে গর্ত খুঁড়ছিল। এ সময় বিজিবির নিয়মিত টহলদলের চোখে পড়ে যায়। বিজিবি সদস্যরা টর্চের আলোতে তাদের দেখতে পেয়ে চ্যালেঞ্জ করে।
তখন কালো পলিথিন মোড়ানো বস্তা নিয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পিছু ধাওয়া করলে তারা অ’তর্কিতে বিজিবির ওপর এলোপাতাড়ি গু’লি চালায়। এ সময় ২ বিজিবি সদস্য আহত হন। আত্ম’রক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গু’লি করে।
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, প্রায় ৭-৮ মিনিট গু’লি বিনিময়ের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গু’লিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। একই সাথে ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়া’বা, ১টি দেশীয় বন্দুক ও ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করতে সক্ষম হয় বিজিবি।
আহত ব্যক্তির পকেটে থাকা পরিচয় পত্র দেখে তাকে মিয়ানমারের নাগরিক (রোহিঙ্গা) নুর কবির (২৮) বলে শনাক্ত করা হয়। তাকে বিজিবি সদস্যরা টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখানে পৌঁছার পর ডাক্তার তাকে মৃ’ত বলে ঘোষণা করেন।
লে. কর্নেল মো. ফয়সাল হাসান খান আরও জানান, মা’দক পাচা’রকারী অন্যরা দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কোনো ধরনের তথ্য জানা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।
1.9K