আইন আদালত ডেস্ক:
পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। রোববার হাইকোর্টে রিটটি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
পরে রিটটি শুনানির জন্য বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়। এতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অ’বৈধ হবে না এই মর্মে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
পেঁয়াজের অ-স্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি রোধ এবং এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ৩ নভেম্বর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
বাণিজ্য সচিব ও এনবিআরের চেয়ারম্যানকে ৭ দিনের সময় দিয়ে ওই নোটিশে বলা হয়েছিল এ সমস্যার সমাধান করতে না পারলে হাইকোর্টে রিট করা হবে।
তবে নোটিশের জবাব না পাওয়ায় আইনজীবী তানভীর আহমেদ রিট করেন।
পেঁয়াজ নিয়ে যা হওয়ার হয়েছ, চাল নিয়ে যেন না হয়
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার চালকল মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, পেঁয়াজ নিয়ে অযথা একটা কেলে’ঙ্কারি হয়ে গেছে। যা হওয়ার হয়েছে, চাল নিয়ে এরকম যেন না হয় সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করেছেন তিনি।
রোববার সকালে খাদ্য ভবনে চালকল মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
পেঁয়াজের দামের মতো চালের দামও যেন অ-স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে না যায়, সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কয়েকদিন ধরে পত্র-পত্রিকায় দেখছি চালের দাম বাড়ছে। তবে এখনও আমাদের মজুদ অনেক বেশি। পেঁয়াজের দামের মত চালের দাম নিয়েও যেন কোনো সমস্যা না হয়, সহনীয় বাজার যেন অ-স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে না যায়। চালের দাম কম থাকলেও আমাদের গোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়, বাড়লেও গোষ্ঠী উদ্ধার করা হয়। বাজার সহনীয় রাখতে হবে। এ ব্যাপারে আপনারা সতর্ক থাকবেন।
মন্ত্রী বলেন, খোলা বাজারের (ওএমএসের) চাল ডিলাররা নিতে চায় না, কারণ কম দাম। এ ব্যাপারে কোনো অ’নিয়ম থাকলে সেটা আমাদের জানাবেন।
ওএমএস ডিলাররা চাল নেন না উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র বলেন, আমরা পত্র-পত্রিকায় দেখেছি চালের দাম বৃদ্ধি। কিন্তু আমি বুঝি না, আমাদের এখন সর্বকালের সর্ববৃহৎ সরকারি (খাদ্যশস্য) মজুত। ওএমএস ডিলাররা এখন চাল নেয় না। বাজার কন্ট্রোলের জন্য তো সরকার ওএমএস ডিলার নিয়োগ করেছে। সরকারের মজুত থেকেই ডিলারদের চাল দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তিনি বলেন, কিন্তু ওএমএস ডিলাররা নাকি ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করতে পারে না। তাই ওএমএস ডিলাররা চাল নিতে চায় না। এর অর্থ এই নয় যে আমাদের গুদামে খারাপ চাল আছে। আমাদের বোরো প্রকিউরমেন্টের চাল রয়েছে এবং ভালো চাল রয়েছে। এই চাল ৩০ টাকা দরে কিনতে চায় না। কিন্তু পত্র-পত্রিকায় এসেছে চালের দাম বেড়েছে। আমরাও তো বাজার মনিটরিং করি। আমরা বাজার মনিটরিংয়ে দেখেছি ফাইন রাইসের (চিকন চাল) দাম কিছুটা বেড়েছে।
এখন রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে গণভবন পর্যন্ত সবাই চিকন চালের ভাত খায় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, রপ্তানি করলে চিকন চাল উপর চাপ পড়বে আর রপ্তানি হলে তো ফাইন রাইস রপ্তানি হবে, মোটা চাল রপ্তানি হবে না। তাই এ চাল রপ্তানির জন্য আমার তরফ থেকে আমি অনুমোদন দিতে পারব না।