মেঘনায় ধরা পড়ল ৫ মণ ওজনের শাপলা পাতা মাছ

0

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনায় জেলেদের জালে ৫ মণ ওজনের একটি বিশাল আকৃতির শাপলা পাতা মাছ ধরা পড়েছে। আজ বিকালে পৌর শহরের পলতাকান্দা গ্রামের জেলে আলমগীর হোসেনের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

জেলেদের দাবি, শাপলা পাতা মাছটি ১ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন তারা। বিশাল আকারের মাছটি সন্ধ্যায় নৈশ মৎস্য আড়তের মনির এন্টারপ্রাইজের মালিক রাজু বেপারী কাছে নিয়ে আসেন তারা। মাছ দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।

রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আড়তে ক্রেতারা মাছটির দাম ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বলেছে।

পৌর শহরের পলতাকান্দা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর হোসেন জানান, দীর্ঘ দিন ধরে মেঘনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছেন তিনি। প্রতিদিনের মত আজও দুপুরে নদীতে জাল ফেলেন তিনিসহ তার সহযোগীরা।

পরে মাছ ধরতে জাল টেনে কাছে আনার সময় জালে বড় কিছু একটা ধরা পড়েছে বলে টের পান তারা। ফলে আস্তে আস্তে জাল টেনে কৌশলে বিরল প্রজাতির শাপলা পাতা মাছটি ধরতে সক্ষম হন। মাছটি লাখ টাকা বিক্রি করবে এই প্রত্যাশা তাদের।

শুঁড় দিয়ে কচ্ছপকে রাস্তা পার করাল হাতি (ভিডিও)

একটি কাঁচা রাস্তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছে এক বাচ্চা হাতি। সেই রাস্তাতেই ছিল একটি কচ্ছপ। হাতিটি কচ্ছপটিকে পেরিয়ে যেতে গিয়েও থমকে দাঁড়ায়। প্রথমে মনে হয় বোঝার চেষ্টা করে ওটা কী? তার পর সেটিকে শুঁড় দিয়ে ঠেলে দেয়। ঠেলা খেয়ে কচ্ছপটি মাথা পা বের করে খোলস থেকে।

তারপর যতটা দ্রুত সম্ভব সে কাঁচা রাস্তা থেকে জঙ্গলের দিকে নেমে যায। যতক্ষণ না কচ্ছপটি রাস্তা পেরিয়ে যায়, বাচ্চা হাতিটি সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে। নজর রাখে তার দিকে।

হাতির শুঁড় দিয়ে এভাবে কচ্ছপকে রাস্তা পার করানোর ভিডিও ইতিমধ্যে ভারতে ভাইরাল হয়েছে।

২ দিন দুটি হাতির ভিডিও পোস্ট করলেন এক ভারতীয় বন কর্মকর্তা। প্রবীণ কাসওয়ান নামে ওই অফিসার তার ভেরিফায়েড টুইটারে রোববার ও সোমবার যে ভিডিও দুটি পোস্ট করেন, সেখানে দেখা গেছে, একটি পশু অন্য পশুকে কীভাবে সাহায্য করছে। আর যদি পশুদের বির’ক্ত করা হয়, তার ফল কী হতে পারে তাও দেখা যাচ্ছে অন্য একটি ভিডিওতে।

দুই পশুর এমন বন্ধুত্বপূর্ণ ঘটনার বিপরীত ছবি ধরা পড়েছে প্রবীণের পোস্ট করা আরেকটি ভিডিওতে।

রোববার যে ভিডিওটি পোস্ট করেছেন তিনি, সেখানে দেখা যাচ্ছে, একটি দাঁতাল হাতি পিচের রাস্তায় উঠে আসছে। আর তার সামনে দিয়েই দ্রুত বেরিয়ে যাচ্ছে একটি বাইক। বাইকটিকে এভাবে তার মুখের সামনে দিয়ে যেতে দেখে সম্ভবত বির’ক্ত হয় হাতিটি। তাড়া করে বাইকটিকে। যেহেতু বাইকটির গতি অনেক বেশি ছিল, তাই হাতিটি আর সেদিকে না গিয়ে উল্টোদিকে চায়ের বাগানের দিকে চলে যায়।

এই পোস্টটিতে প্রবীণ লিখেছেন, বন্যজীবন নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় সমস্যা হলো মানুষ।

তিনি জানিয়েছেন, হাতি পারাপারের জন্য পিচের রাস্তার দুই ধারে গাড়িগুলোকে আটকে দেয়া হয়। অন্যান্য গাড়ির চালক ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলেও ওই বাইকচালক হাতির সামনে দিয়েই এগিয়ে যেতে যান। এই ভুলের জন্য বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত বাইকচালকেরই। এমন না করার জন্যও সতর্ক করেছেন প্রবীণ।

শেয়ার করুন !
  • 3.6K
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!