ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সুজন সোমবার নান্দাইল চৌরাস্তা কাঁচামালের আড়ত ও খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ে মনিটরিং করেন।
ইউএনওর আকস্মিক এই পরিদর্শনে মুহূর্তেই পেঁয়াজের দাম কমলো ৪৫ টাকা।
জানা গেছে, নান্দাইল চৌরাস্তা বারুইগ্রাম বাজারের কাঁচামালের আড়তদার/পাইকারি বিক্রেতাগণ পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করছিলেন। পাশাপাশি খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ২১০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।
কিন্তু বিক্রেতাগণ প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে দাম কমিয়ে খুচরা প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৭৫ ও এলসি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ১৫০ টাকা বিক্রি শুরু করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাঁচামালের আড়তে প্রবেশ করে আড়তদারগণকে পাইকারিভাবে পেঁয়াজের ধরন অনুযায়ী ১৪০ টাকা ও ১৬৫ টাকা বিক্রি করাসহ নিয়মিত সব ধরনের কাঁচামালের পাইকারি ও খুচরা মূল্য তালিকা বোর্ড টানানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। নইলে জরি’মানা করা হবে বলে জানান।
এছাড়া বাজারের প্রতিটি দোকানে নি’ষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন বিক্রি না করার জন্য কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, কোনো অ’সাধু ব্যবসায়ী যাতে কোনো ধরনের সিন্ডিকেট করে কাঁচামালকে বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করতে না পারে সেজন্য অভিযান অ’ব্যাহত থাকবে।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ এনামুল হক বাবুল, এবি সিদ্দিক খসরু, শাহজাহান ফকির, মাহবুব আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গৌরীপুরে ১ মিনিটেই পেঁয়াজের দাম কমে গেল ৮০ টাকা!
পেঁয়াজ ও নিত্য পণ্যের বাজার দেখতে যান গৌরীপুর থানার ওসি কামরুল ইসলাম মিঞা। তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পেঁয়াজের অ-স্বাভাবিক বাজার নিয়ে কথা বলায় ১ মিনিটে প্রতি কেজিতে পেঁয়াজের দাম কমে গেছে ৮০ টাকা। আলোচনায় ২৬০ টাকার স্থলে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারিত হয় ১৮০ টাকায়।
এ দিকে পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মাহতাব উদ্দিন জানান, ২৩০ টাকা কেজিতে আড়ৎ থেকে তিনি পেঁয়াজ কিনে আনেন। প্রতি বস্তায় ৩-৪ কেজি থাকে পচা-নষ্ট। তাই ২৬০ টাকার কমে বিক্রি এই মুর্হূতে সম্ভব নয়।
আড়তের মালিক মো. সাদির উদ্দিন জানান, তিনি প্রতি কেজি এখন থেকে ১৭৫ টাকায় বিক্রি করবেন। খুচরা বিক্রেতারা প্রতিশ্রুতি দেন প্রতি কেজি ৫ টাকা লাভে ১৮০ টাকায় বিক্রি করবেন। পণ্য সরবরাহ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা দামও নিম্নমুখী করে দিবেন।
‘মানুষ মানুষের জন্য’ এ স্লোগানে গৌরীপুরের ব্যবসায়ীরা অঙ্গীকার করেন নির্ধারিত পণ্যের চেয়ে অতিরিক্ত মূল্য নিবেন না।
385