স্পোর্টস ডেস্ক:
কোনো ধরনের ক্রিকেটেই এখন নিয়মিত নন মাশরাফি বিন মুর্তজা। স্বভাবতই বিপিএল নিলামে অটোমেটিক চয়েসে ছিলেন না তিনি। প্লেয়ার্স ড্রাফটে ৯ম ডাক পর্যন্ত কোনো দল পাননি মাশরাফি। অবশেষে দেশি-বিদেশি মিলে ১০ম ডাকের পর নড়াইল এক্সপ্রেসকে নেয় ঢাকা প্লাটুন।
মাশরাফিকে অন্য কেউ দলে নেয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত নিয়েছে ঢাকা। কিন্তু কেন? কৌতূহলী এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন দলটির কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।
ম্যাশকে দলে নেয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, মাশরাফি এক অর্থে এখন ক্রিকেটে নেই। জাতীয় লিগ খেলছে না। ২ বছর ধরে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলে না। টেস্ট খেলে না বহুদিন, সেটিও হবে কমপক্ষে এক দশক। তাই সমসাময়িক দলগুলোর সঙ্গে তার প্র্যাকটিস করা হয় না। এসব কারণ মাথায় রেখেই হয়তো তাকে কেউ দলে ভেড়ায়নি।
তবে আমি সেভাবে চিন্তা করি না, করিনিও। কারণ ম্যাশ এমন এক ব্যক্তিত্ব, যার অভিধানে না পারার শব্দটাই নেই। তার সাহস, উদ্যম ও চেষ্টা সর্বোচ্চ পর্যায়ের। এখনও সে একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে সক্ষম।
সবশেষ বিশ্বকাপে অনুজ্জ্বল ছিলেন মাশরাফি। এর পর নিজেকে প্রমাণের সুযোগও পাননি তিনি। সব মিলিয়ে ডানহাতি পেসার কতটা ফর্মে আছেন, তা নিয়ে দলগুলোর সন্দেহ রয়েছেই। ঢাকা কোচও মনে করছেন, এ কারণেই শুরুতে জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়কের প্রতি আগ্রহ দেখায়নি কোনো দল।
সালাউদ্দিন বলেন, বিশ্বকাপটা ভালো যায়নি মাশরাফির। সে তার মতো পারফর্ম করতে পারেনি। কেউ মুখ ফুটে না বললেও আমার ধারণা- সেটিই সবাই মাথায় রেখেছে। অন্যথায়, ১/২ কলের মধ্যে তাকে না ডাকার কোনো কারণ দেখি না। এখানে ছিল ৭টি দল। কেউ না কেউ ডাকত।
এক সময়ের দেশসেরা পেসারকে শেষাংশে কেন নিয়েছে ঢাকা প্লাটুন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন কোচ।
সালাউদ্দিনের ভাষায়- আমরা মূলত দু’টি বিষয় চিন্তা করে মাশরাফিকে ডেরায় ভিড়িয়েছি। প্রথমত তার অভিজ্ঞতা, মাঠ ও মাঠের বাইরে যে কোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার সক্ষমতা। দ্বিতীয়ত, নতুন বলের কার্যকারিতা। আমি মনে করি, এখনও নতুন বলে বাংলাদেশের ১ নম্বর পেসার সে। নতুন বলে উইকেট নেয়ার ক্ষমতা এবং পাওয়ার প্লেতে প্র’তিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের তেড়েফুড়ে শট খেলা থেকে বি’রত রাখার ক্ষেত্রে এখনও সবার সেরা ও। তাই তার প্রতি উৎসাহী হয়েছি।
ঢাকা প্লাটুন কোচের বিশ্বাস, মাশরাফির অভিজ্ঞতা, নেতৃত্বগুণ ও নতুন বলের কারুকাজ তাদের দলকে ভালো সহায়তা করবে।
174