সময় এখন ডেস্ক:
রাজপথে আন্দোলন না করে শুধু দোয়া মাহফিল দিয়ে কিছু হবে না। আর, প্যারোল বা জামিন নয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমে, ডাইরেক্ট অ্যাকশনে নামতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বুধবার সকালে, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে নয়াপল্টনে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে যুবদলের দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, প্রয়োজনে লক্ষ নেতাকর্মী জেলে যাবো। রাজপথ দখ’লের চেষ্টা না করলে দেশের দুর্ভোগ কোনদিন কমবে না। রাজপথে আন্দোলন না করে, দোয়া মাহফিলে সন্তুষ্ট করতে চাইলে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সঙ্গে প্র’তারণা করা হবে।
এ সময়, বিএনপি খারাপ সময় পার করছে উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের প’তন নিশ্চিত না হলে, কেউ নি’র্বিঘ্নে জীবনযাপন করতে পারবেনা। ক্রসফায়ার, গুম, মামলায় বি’পর্যস্ত দলের নেতাকর্মীরা। ভয়-শ’ঙ্কা থেকে মুক্ত হতে হলে বড় ধরনের সংগ্রাম ও লড়াইয়ের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।
ঐক্যবদ্ধভাবে এই দুঃশাসনের মোকাবিলা করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জনগনের কাছে ধামাচাপা দিচ্ছে সরকার। বিএনপি নেতৃত্বশূন্য হয়ে যায় নাই। খালেদা জিয়া কারাব’ন্দী ,আর দেশের মানুষও খোলা কারাগা’রে। যু্বদল ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথে নামলে সকলকে পাশে পাবে।
রাস্তায় দুর্ভোগ অথচ পরিবহন শ্রমিকদের আন্দোলনে সমর্থন বিএনপির!
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে নিশ্চয়ই তা যৌক্তিক। তাদের এই আন্দোলনে আমাদের সমর্থন থাকবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব) আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক অ্যাসোসিয়েশনের তেজগাঁও কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বুধবার থেকে অ-নির্দিষ্টকালের জন্য পণ্য পরিবহন বন্ধ ঘোষণা করে কর্মবিরতির ডাক দেয় বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
এ সময় নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাতিল করে আইন সংশোধনে ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন শ্রমিক নেতারা।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।