আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
লম্বা লাইনে দাঁড়ানো ও সিকিউরিটি চেকিং এড়ানো এবং বাড়তি সুবিধা পেতে পাইলটের ইউনিফর্ম পরে নিয়মিত বিমানে উঠতো এক ব্যক্তি। একবার দু’বার নয় এ রকম ১৫ বার সে সফলও হয়েছে।
কিন্তু শেষবার এই সুবিধা পেতে গিয়ে পড়েছে ধরা। ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। লুফৎহানসা এয়ারলাইন্সের পাইলট সেজে বিমানে চড়ার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের গেটের সামনে থেকে পাইলটের ইউনিফর্ম পরা ৪৮ বছরের রাজন মাহবুবানিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জার্মান বিমানসংস্থার চিফ সিকিউরিটি অফিসার লুফৎহানসা এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেনের ইউনিফর্মে একজন সন্দেহজনক যাত্রীকে দেখা গেছে বলে বিমানবন্দরের সিকিউরিটি বাহিনীকে সতর্ক করেছিল। এই সতর্ক বার্তা পেয়ে সিআইএসএফ ওই যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃতকে দিল্লি পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দেওয়া হয়।
সিআইএসএফ-এর শীর্ষ এক অফিসার বলেছেন, দিল্লির বসন্তকুঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। তার কাছে লুফৎহানসা এয়ারলাইন্স ক্যাপ্টেনের একটি ভুয়া পরিচয়পত্র রয়েছে। বিমানবন্দরে নানারকম সুবিধে পাওয়ার জন্য সে সেটিকে ব্যবহার করতো।
ব্যাপক পুলিশি জিজ্ঞাসা’বাদে ওই ভুয়া পাইলট জানিয়েছে, বিমান পরিবহনের উপর ইউটিউবের জন্য ভিডিও শ্যুট করত সে। ব্যাংকক থেকে সে লুফৎহানসার ভুয়া পরিচয়পত্রটি সংগ্রহ করেছে।
পুলিশকে সে আরও জানিয়েছে যে, শুধু পাইলট নয়, নানা পেশার ইউনিফর্ম পরে নিজেকে সেই পেশার কর্মী সাজতে তার ভালো লাগে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব ছবি শেয়ারও করত সে।
এমনকি নানা পেশার কর্মীদের ইউনিফর্ম পরে তার বেশ কয়েকটি টিকটক ভিডিও পাওয়া গেছে তার ফোনে। সেনাবাহিনীর কর্নেলের ইউনিফর্ম পরা ছবিও রয়েছে তার।
পাইলট সেজে রাজন মাহবুবানি সহজেই বিমান ক্রুদের হাঁটা চলার প্যাসেজ ব্যবহার করতে পারতো। আবার পাইলটের ক্ষমতার বলে কখনও নিজের আসন আপগ্রেড করে নিত, কখন কখন অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বাড়িয়েও নিতো।