সময় এখন ডেস্ক:
সাভারে বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন নকল প্রসাধনসামগ্রী তৈরি ও বাজারজাতকরণের অভিযোগে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ টাকা জরি’মানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ সময় ধ্বং’স করা হয়েছে কারখানাটির তৈরি ১৭ প্রকারের অন্তত ২০ লাখ টাকা মূল্যের প্রসাধনসামগ্রী। যার মধ্যে শীতকালীন প্রসাধনীও ছিল প্রচুর।
বৃহস্পতিবার সকালে র্যাব ৪, ক্রাইম প্রিভেনশন কম্পানি ২ এর কম্পানি কমান্ডার মেজর শিবলী মোস্তফা এক প্রেস নোটের মাধ্যমে এই তথ্য জানান।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সাভারের দেওগাঁও এলাকার ইয়াফি বিউটি কনসেপ্ট কেয়ার লিমিটেড নামে কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আনিসুর রহমান। এ সময় বিএসটিআই ও র্যাব ৪ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থদ’ণ্ডপ্রাপ্তরা হলো ইয়াফি বিউটি কনসেপ্ট কেয়ার লি. কম্পানির মালিকের ছেলে নাজমুল হক (৪০) এবং প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার কুতুব উজ্জামান (৩৭)।
মেজর শিবলী মোস্তফা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সাভারের দেওগাঁও এলাকায় বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই অ’বৈধভাবে ফেসিয়াল, হেয়ার জেল, আফটার শেভ ও লোশনসহ প্রায় ১৭ প্রকারের নকল প্রসাধনী তৈরি করে আসছিল ইয়াফি বিউটি কনসেপ্ট কেয়ার লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানটি।
পরে গত মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে কারখানাটির তৈরি বিপুল পরিমাণ প্রসাধনসামগ্রীর মান যাচাই করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় ২০ লাখ টাকা মূল্যের ১৭ প্রকারের প্রসাধনসামগ্রী নকল চিহ্নিত করে তা ক্রোকের পর ধ্বং’স করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ সময় নকল পণ্য তৈরি ও তা বাজারজাতকরণের অভিযোগে ইয়াফি বিউটি কনসেপ্ট কেয়ার লিমিটেড কম্পানির মালিক নাজমুল হককে ২ লাখ ও ম্যানেজার কুতুব উজ্জামানকে ১ লাখ টাকা অর্থদ’ণ্ড প্রদান করেন আদালত।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান ও জড়িতদের বিরু’দ্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৪৩ ও ৫৩ ধারায় মামলা রুজু করা হয় বলেও জানান তিনি।