রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের পাটকিয়াবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পেয়েছেন উত্তম কুমার গোস্বামী নামে হিন্দু সংগঠনের এক নেতা।
তিনি উক্ত মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক এবং বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজ সংস্কার সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ ব্রাহ্মণ সংসদ রাজবাড়ী জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির রাজবাড়ী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ৩১ অক্টোবর মাদ্রাসার সুপার অবসরে যান। এরপর সহকারী সুপার মো. হাসান আলীকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব প্রদান করা হয়। এরই মাঝে সুপার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলে ভারপ্রাপ্ত সুপার প্রার্থী হওয়ায় আমরা ম্যানেজিং কমিটি উত্তম কুমার গোস্বামীকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব প্রদান করেছি। মাদ্রাসার নতুন সুপার দায়িত্ব গ্রহণের আগ পর্যন্ত তিনি ভারপ্রাপ্ত সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব পাওয়া উত্তম কুমার গোস্বামী বলেন, ম্যানেজিং কমিটি আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর গত বুধবার আমি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। আমার ওপর যে দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে আমি তা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করার আপ্রাণ চেষ্টা করব।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কাজী এজাজ কায়ছার বলেন, সহকারী সুপার প্রার্থী হওয়ায় উত্তম কুমার গোস্বামীকে ভারপ্রাপ্ত সুপারের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবেন।
প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শিকলমুক্ত হলো কালীগঞ্জের ৩ মাদ্রাসাছাত্র
গাজীপুরের কালীগঞ্জের তুমলিয়া ইউনিয়নের ভাইয়াসুতি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার সেই ৩ ছাত্র অবশেষে শিকলমুক্ত হয়েছে। বুধবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিক তাদের শিকলমুক্ত করেন।
ভাইয়াসুতি হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্র ইফাদ, ইয়াসিন ও আজিজুলের বয়স ১৩ বছর। তাদের এক পা ছিল লোহার শিকলে তালাবদ্ধ। তাদের ২৪ ঘণ্টাই কাটত লোহার শিকলে তালাবদ্ধ অবস্থায়। এভাবেই প্রতিদিনের খাওয়া-দাওয়া, টয়লেট-গোসল, লেখাপড়া, ঘুম সবই চলছিল।
বিষয়টি শুরুতে নজরে আসে স্থানীয় সাংবাদিকদের। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শিবলী সাদিকের।
তিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসায় গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান এবং সেখানে অধ্যয়নরত ইফাদ, ইয়াসিন ও আজিজুলের পায়ের তালাবদ্ধ লোহার শিকল খুলে দেন। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটিকে সতর্ক করেন।