পেঁয়াজ আমদানি নিয়ে ৪৭ ব্যবসায়ীর কার’সাজি , গোয়েন্দা দপ্তরে চলছে শুনানি

0

সময় এখন ডেস্ক:

পেঁয়াজের দাম লাগামহীন হয়েছে অনেক আগেই। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে কার্গো বিমানে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছে। পাকিস্থানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। নানামুখী পদক্ষেপে পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমলেও ফের বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।

এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (২৫ নভেম্বর) পেঁয়াজ আমদানি ও মূল্যবৃদ্ধির অনুসন্ধানে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর শুনানি গ্রহণ করছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। ২৫ ও ২৬ নভেম্বর মোট ৪৭ পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের শুনানি গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে আজ ১০ আমদানিকারকের শুনানি চলছে।

সোমবার বেলা ১১টা থেকে রাজধানীর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কার্যালয়ে পেঁয়াজ নিয়ে শুনানি শুরু হয়।

শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, ১০ আমদানিকারক গত আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১৫৯ কোটি ১২ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট ৪৪ হাজার ৩১ টন পেঁয়াজ আমদানি করে। সবচেয়ে বেশি আমদানি করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের টিএম এন্টারপ্রাইজ। এ আমদানিকারক এ সময় ৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা মূল্যে ৯ হাজার ২০ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে।

শুল্ক গোয়েন্দারা জানান, আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জের একতা শাস্য ভান্ডার ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা খরচ করে ৩ হাজার ৩৯৪ টন, এম/এস সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ ১৩ কোটি ৬ লাখ টাকা খরচ করে ৩ হাজার ৪৪৮ টন, নূর এন্টারপ্রাইজ ১৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ হাজার ৪৩৮ টন, এম/এস আরএম অ্যাগ্রো ৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪ হাজার ৭০০ টন, টিএম এন্টারপ্রাইজ ৩৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৯ হাজার ২০ টন এবং

বিএইচ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি ১৪ কোটি ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ হাজার ৭৪৬.৫০ টন, রাজশাহীর এম/এস ফুল মোহাম্মদ ট্রেডার্স ১৪ কোটি ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ হাজার ৮৫ টন, সাতক্ষীরার এম/এস দীপা এন্টারপ্রাইজ প্রোপার্টিজ (প্রো. সুকুমার দাস) ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ হাজার ৬৯৩ টন, নওগাঁর জগদীশ চন্দ্র রায় ১৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ হাজার ৫৭৪.৫০ টন এবং বগুড়ার এম/এস সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ৯৩২ টন পেঁয়াজ আমদানি করেছে।

অন্যদিকে সোমবার দুপুর ২টার দিকে শুনানির বিরতি চলার সময় আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক আব্দুল আওয়াল গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, যাদের ডাকা হয়েছিল, তাদের মধ্যে আমাদের ৪ জনের শুনানি শেষ হয়েছে। এখন বিরতি চলছে। আবার সাড়ে বিকেল ৩টায় ডাকছে, আবার আসব। তারা আমাদের কাছে আগস্ট থেকে ৩ মাসের স্টেটমেন্ট (বিবরণ) চেয়েছিল, আমরা ইনপোর্টের (আমদানি) তথ্য তাদের কাছে তুলে ধরেছি।

আমদানিকারকদের কারসাজির জন্য পেঁয়াজের দাম লাগামহীন হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল আওয়াল বলেন, শুনানি শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

শেয়ার করুন !
  • 156
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!