ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হবে: গোয়েন্দা দপ্তর

0

অর্থনীতি ডেস্ক:

ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পেঁয়াজের বাজার দর স্বাভাবিক হয়ে যাবে- এমন আশ্বাস দিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর আইডিইবি ভবনে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নিজস্ব দপ্তরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ আশ্বাস দেন।

মহাপরিচালক বলেন, আজ রাতে চট্টগ্রাম বন্দরে ৮শ টন পেঁয়াজ নামবে। যা টিসিবির কাছে ৪২ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। এসব পেঁয়াজ সামান্য লাভে বিক্রি করা হবে। অন্যদিকে দেশের বড় মাপের আমদানিকারকদের তুরস্ক, চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্যে এলসি খুলতে পরামর্শ দিয়েছি। এরই মধ্যে অনেকে এলসি খুলে পেঁয়াজ আমদানির প্রস্তুতি নিয়েছেন। অনেকের নতুন এলসি খোলা পেঁয়াজ ২/১ দিনের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছাবে। এভাবে বাজার চাহিদার তুলনায় বেশি পেঁয়াজ পর্যায়ক্রমে দেশের বাজারে আসবে।

তিনি বলেন, গত ২ দিনে ১ আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ১ হাজার টনের বেশি পিয়াজ আমদানি করেছে এমন ৪৭ জন আমদানিকারককে তলব করা হয়। এদের মধ্যে ৪৩ জন উপস্থিত হয়েছেন। এসব আমদানিকারকের কাছে ১ আগস্ট থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত কী পরিমাণ পরিমাণ পেঁয়াজ, কত দামে আমদানি করেছে এবং আমদানিকৃত পেঁয়াজ কার কাছে বিক্রি করেছে- তার সকল তথ্য দেখতে চাই। ব্যবসায়ীরা আমাদের চাহিদামত তথ্য দিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ আমদানি করে মজুদ রেখেছেন, এখনো পর্যন্ত এমন তথ্য পাইনি। এখন আমদানিকারকদের কাছ থেকে কিনে আড়তদার ও পাইকারি বিক্রেতারা মজুদ রেখে বাজারে পেঁয়াজের সং’কট তৈরি করছে কি না আমরা তা খতিয়ে দেখবো। এছাড়া আমদানিকারকদের অনুরোধ করেছি, যে আড়তদার ও পাইকারী ব্যবসায়ী তার কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনেছে তাদের বলতে- কোন পেঁয়াজ যেন মজুদ না করে।

সহিদুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজ মজুদ রেখেছে এমন তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাকে সরকার যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।

শুল্ক গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য প্রমাণ জমা শেষে পেঁয়াজ আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রায়হান ট্রেডার্সের মালিক শহিদুল ইসলাম বলেন, আমদানিকারকদের মধ্যে কেউ পেঁয়াজ মজুদ রেখেছে বলে আমার জানা নাই। তবে আমাদের কাছ থেকে যারা কিনে বাজারে ছেড়েছে তারা মজুদ করে রেখেছে কি না খোঁজ নেয়া দরকার।

এছাড়া এদেশের মানুষের প্রতি ব্যবসায়ীদেরও দায়বদ্ধতা আছে। এরই মধ্যে আমরা লাভ লসের কথা না ভেবে নতুন এলসি খুলে তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আনার প্রস্তুতি শেষ করেছি। আশা করছি আগামী সপ্তাহেই নতুন এলসির পেঁয়াজ দেশে পৌঁছাবে।

এ পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০/৬৫ টাকা দরে কিনে সকল খরচের পরও ৭৫ টাকা কেজিতে বাজারে ছাড়তে পারবেন বলে জানান এই ব্যবসায়ী।

শেয়ার করুন !
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!