ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের সুবিধার্থে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন শুরু হয়েছে। ডাকসুর উদ্যোগে ও এসিআই এর সহযোগিতায় ক্যাম্পাসের ১০টি স্থানে এই স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন স্থাপন করা হচ্ছে।
ছাত্রীরা যে কোনো সময় ১০ টাকার নোট দিয়ে মেশিন থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন সংগ্রহ করতে পারবেন। ডাকসুর এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে বেশ প্রশংসিত হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের মাঝে।
ভেন্ডিং মেশিন যেসব যায়গায়:
১. রোকেয়া হল। ২. শামসুন নাহার হল। ৩. কবি সুফিয়া কামাল হল। ৪. বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল। ৫. বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল। ৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি। ৭. কলাভবনের ছাত্রীদের কমনরুম। ৮. বিজনেস অনুষদের কমনরুম। ৯. সায়েন্স লাইব্রেরি এবং ১০. চারুকলা।
ইরেগুলার পিরিয়ড রেগুলার করার ৯টি উপায়
নারীদের খুবই কমন সমস্যা ইরেগুলার পিরিয়ড। বিভিন্ন বয়সের নারীরা এই সমস্যায় ভোগেন। এর নানা কারণ থাকতে পারে। যেমন- অধিক মানসিক চাপ, পরিশ্রম, দুর্বলতা, জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন।
চিকিৎসকেরা ইরেগুলার পিরিয়ড ঠিক করার জন্য যেসব পিল দিয়ে থাকেন তা খেলে সাইড ইফেক্টের ভয় থাকে। তাই জেনে নিন এমনকিছু উপায় যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ইরেগুলার পিরিয়ডের সমস্যা দূর করতে পারবেন-
আদা: ১ কাপ পানিতে ১ চা চামচ পরিমাণ মিহি আদা কুঁচি নিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এখন এর সঙ্গে অল্প চিনি বা মধু মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন খাবার খাওয়ার পর এই পানীয়টি ৩ বেলা খাবেন। এই পানীয়টি ভরা পেটে খেতে হবে। কয়েক মাসের মধ্যেই সুফল পাবেন। আদা পিরিয়ড সাইকেল রেগুলেশনে সাহায্য করে এবং ইরেগুলার পিরিয়ড রেগুলার করে।
কাঁচা পেপে: কাঁচা পেপে পিরিয়ড রেগুলার করতে সাহায্য করে। কাঁচা পেপে জরায়ুর মাসল ফাইবার কন্ট্রাকশনে সাহায্য করে। পরপর কয়েক মাস রেগুলার কাঁচা পেঁপের রস খেলে পিরিয়ড রেগুলার হয়, তবে পিরিয়ড চলাকালীন এটি না খাওয়াই ভালো।
কাঁচা হলুদ: পিরিয়ড রেগুলার করতে এবং শরীরে হরমোন ব্যাল্যান্স ঠিক রাখতে সাহায্য করে হলুদ। কাঁচা হলুদ জরায়ুর মাংসপেশী সঙ্কোচন-প্রসারণ নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ১ কাপ দুধে চা চামচের ৪ ভাগের ১ ভাগ কাঁচা হলুদ নিয়ে মধু বা গুড় দিয়ে কিছুদিন খেয়ে দেখুন, পরিবর্তন নিজেই টের পাবেন।
অ্যালোভেরা: অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর শাঁস রূপচর্চার পাশাপাশি পিরিয়ড রেগুলার করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এটি হরমোন রেগুলেশনে সাহায্য করে। ভালো ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রতিদিন সকালে খালি পেটে তাজা অ্যালোভেরা পাতার রস সামান্য মধুর সাথে মিশিয়ে খান৷ তবে পিরিয়ড চলাকালীন খাবেন না।
দারুচিনি: যে সমস্ত খাবার বহুগুণে গুণান্বিত, দারুচিনি তার মধ্যে অন্যতম। ইরেগুলার পিরিয়ড দূর করতে চা বা লেবুর রসের সাথে দারুচিনি গুঁড়া করে মিশিয়ে খেতে পারেন। এটি পিরিয়ড রেগুলার করার পাশাপাশি পিরিয়ডকালীন ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন: পিরিয়ড ইরেগুলার হওয়ার একটি কারণ হলো স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। শরীরে যেসব হরমোন পিরিয়ড নিয়ন্ত্রণ করে স্ট্রেসের কারণে সেগুলোর ব্যাল্যান্স নষ্ট হয়। যার ফলে ঠিকমত পিরিয়ড হয় না। যোগ ব্যায়াম এবং মেডিটেশন স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। পিরিয়ড রেগুলার করতে সব থেকে উপযোগী পদ্ধতিগুলোর মধ্যে এই দুটি অন্যতম।
জিরা: পিরিয়ড রেগুলার করতে জিরা ভালো কাজ দেয়। এর কোনো সাইড ইফেক্ট নেই। ১ গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ জিরা নিয়ে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এই পানি এবং জিরা দুটোই খেয়ে ফেলুন। সুফল পাবেন।
ফল ও সবজির জ্যুস: খাদ্য তালিকায় বেশি বেশি ফল ও সবজির জ্যুস রাখুন। এটি শরীর ঠান্ডা রাখে ও হরমোন রেগুলেশনে সাহায্য করে। যেমন- গাজর, পুদিনা পাতা, করলার রস, ভিটামিন সি জাতীয় ফলের রস ইত্যাদি দিনে ২ বার করে খেতে পারেন। তবে পিরিয়ড রেগুলার করতে গাজর এবং আঙুরের রসই সবথেকে বেশি কার্যকরী।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার: পিরিয়ড ইরেগুলার হওয়ার অনেক কারণের মধ্যে একটা হল রক্তে ইনসুলিন ও সুগারের মাত্রার তারতম্য। অ্যাপল সিডার ভিনেগারের মাধ্যমে আপনি এর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এজন্য ১ গ্লাস পানিতে ২ চা চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে প্রতিদিন খাবার খাওয়ার আগে খেয়ে নিন। আপনার পিরিয়ড সাইকেল নিয়ন্ত্রণে এটি অনেক সাহায্য করবে।
শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলেও ইরেগুলার পিরিয়ডের সমস্যা হতে পারে। এজন্য এই পদ্ধতিগুলোর পাশাপাশি আয়রনজাতীয় খাবার, যেমন- মুরগির মাংস, চিংড়ি, ডিম, কচু শাক, লাল শাক, পালং শাক, মিষ্টি আলু, ফুলকপি, মটরশুঁটি, তরমুজ, খেজুর, গাব, টমেটো, ডাল, ভুট্টা, শস্যদানা ইত্যাদি প্রচুর খেতে হবে।
821