বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাসপাতালে পরিণত হচ্ছে ঢামেক

0

স্বাস্থ্য বার্তা ডেস্ক:

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল অচিরেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও আধুনিক হাসপাতালে পরিণত হচ্ছে। এখন এটা আড়াই হাজার শয্যার হাসপাতাল কিন্তু অচিরেই তা ৫ হাজার শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করা হচ্ছে। পৃথিবীর কোনো দেশে ৫ হাজার শয্যার হাসপাতাল নেই।

এছাড়াও দেশের ৮টি বিভাগে ৮টি ক্যান্সার হাসপাতাল, ৮টি কিডনি হাসপাতাল ও ৮টি হৃদরোগ সেন্টার হচ্ছে। কিডনি রোগীদের জন্য প্র’তিটি জেলায় ১০ ইউনিটের একটি করে হেমোডায়ালাইসিস সেন্টার করা হচ্ছে। এজন্য ইতিমধ্যে একনেকে আড়াই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এখন নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে।

সোমবার রাতে অফিসার্স ক্লাব ঢাকায় হাড়-ক্ষয় রোগের ওপর আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি এসব তথ্য দেন।

তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাস্থ্য খাত এগিয়ে চলছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউট এখন বাংলাদেশে স্থাপিত হয়েছে। ১০৫টি মেডিক্যাল কলেজে প্রতিবছর ১২ হাজার নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে।

অফিসার্স ক্লাব ঢাকার স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ফিরোজ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও ক্লাব চেয়ারম্যান খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সেমিনারে মূল আলোচক ছিলেন দেশের প্রখ্যাত অর্থোপেডিক সার্জন, ল্যাব এ্ইড হাসপাতালের অর্থোপেডিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম. আমজাদ হোসেন ও অ্যাপোলো হসপিটালস্ ঢাকার প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী।

বক্তব্য রাখেন অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইব্রাহীম হোসেন খান, ক্লাবের স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মনি লাল আইচ লিটু প্রমূখ।

অধ্যাপক ডা. এম. আমজাদ হোসেন বলেন, ২০৬টি হাড়, ৬৫০টি মাংসপেশি এবং ৩৩০টি জয়েন্ট নিয়ে মানবদেহের জটিল গঠন। এগুলো সারাক্ষণ চায় আমরা যেন তাদের কাজে লাগাই। নচেত তা লোহায় মরিচা ধরার মতো হয়ে অস্টিওপোরেসিস বা হাড়-ক্ষয়, হাঁটু ব্যথা, কোমর ব্যথা, মেরুদণ্ড ব্যথাসহ পুরো শরীর ব্যথা বা নানা জটিলতা তৈরি করতে পারে।

তিনি আরো বলেন, প্রত্যেকের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি যা সুস্থতার বড় নিয়ামক। অধিক ওজন মানেই জীবনে নাভিশ্বাস। এতে জয়েন্ট বা গিঁটগুলোর সমস্যা তৈরি হয়। মানুষ যখন হাঁটে তখন তার ৫ থেকে ৭ গুণ ওজন একটা হাঁটুর ওপর দিয়ে যায়। যখন বেশি ওজন নিয়ে তিনি মাটিতে পা ফেলছেন এবং পা তুলছেন তখন এই অতিরিক্ত ভরের জন্য জয়েন্টগুলোর মা’রাত্মক ক্ষ’তি হয়ে যাচ্ছে।

তাই যেভাবেই হোক আদর্শ ওজন বজায় রাখতে হবে। হাড় সচল রাখতে তাই মুভমেন্টের কোনো বিকল্প নেই সেটা হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং, সাঁতার যাই হোক না কেন। এতে হার্ট, ফুসফুস সক্রিয় রেখে শরীরে সঠিক রক্ত প্রবাহিত হওয়া, অতিরিক্ত ওজন কমানো, হাঁটু বা পেশি শক্তিশালী করাসহ নানা উপকার হয়। এ জন্য বলা হয় ‘লাইফ ফর মুভমেন্ট, মুভমেন্ট ফর লাইফ।

পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী হাড়-ক্ষয়ের খাদ্যাভাসের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে বলেন, সঠিক খাদ্যাভাস সুস্থতার বড়ো নিয়ামক। তিনি হাড়-ক্ষয় ঠেকাতে খাদ্যাভাসের পরিবর্তন ও কিছু খাদ্যের ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।

শেয়ার করুন !
  • 602
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

এই ওয়েবসাইটের যাবতীয় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। somoyekhon.net-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে somoyekhon.net আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো প্রকার দায় বহন করে না।

Leave A Reply

error: Content is protected !!