সময় এখন ডেস্ক:
প্রতিবেশী গৃহিনী ও শিশু শিক্ষার্থী দিয়ে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের অভিযোগে শিক্ষক সাহানুর আলমের বিরু’দ্ধে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান।
সেই সাথে জ’ব্দকৃত খাতাগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অন্য একজন পরীক্ষককে দিয়ে দেখানো হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় দিনাজপুরের বিরামপুর আদর্শ পাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-সচিব ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌহিদুর রহমান, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মো. আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. তোফাজ্জুর রহমান বলেন, নিয়ম বহির্ভূতভাবে প্রতিবেশি এক গৃহিনী ও তার জেএসসি পরীক্ষা দেওয়া সন্তান অনিককে দিয়ে শিক্ষক সাহানুর আলম সম্প্রতি হয়ে যাওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ের খাতা মূল্যায়ন করেছেন। সে জন্য মূল্যায়ন করা অবশিষ্ট ১৫০টি খাতা শিক্ষক সাহানুরের নিকট থেকে নেওয়া হয়েছে এবং সেই খাতাগুলো পুনঃ মূল্যায়ন করা হবে।
এর আগে গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রতিবেশি এক গৃহিনী ও তার ছেলে জেএসসি পরীক্ষা দেওয়া সন্তান অনিককে দিয়ে জেএসসি পরীক্ষার বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় বিষয়ে খাতা দেখা হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই গৃহিনীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নূর আলম ও যুব উন্নয়ন অফিসার জামিল উদ্দিন পুলিশসহ ওই বিষয়ের ১০০টি খাতা জ’ব্দ করেন। পরে জ’ব্দকরা খাতাগুলো বিরামপুর থানায় পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়।
দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সাহানুর আলম সদ্য সমাপ্ত জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড থেকে গ্রহণ করেন। খাতাগুলো মূল্যায়ন শেষে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের প্রধান পরীক্ষকের কাছে জমা করার কথা বলা হয়।
কিন্তু তিনি নিজে খাতা মূল্যায়ন না করে প্রতিবেশী জিয়াউর রহমানের বাড়িতে ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিয়ে যান। চাকরির সুবাদে জিয়াউর রহমান বাড়ির বাহিরে থাকায় তার স্ত্রী দিলরুবা বেগম ও তার জেএসসি পরীক্ষা দেওয়া ছেলে অনিক এবং নার্সারি শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশু সন্তান আবরার খাতাগুলো মূল্যায়নের কাজ শুরু করেন।
ইতোমধ্যে ওই গৃহিনী ও সন্তানদের মূল্যায়ন করা ১৫০টি খাতা শিক্ষক সাহানুর রহমান নিয়ে গেছে এবং অবশিষ্ট ১০০টি খাতা গতকাল সোমবার নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।