আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্থানে এখন টমেটো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আর তাই ভারতের মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া জেলার কৃষকরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন পাকিস্থানের দিকে! তবে পাকিস্থান অধি’কৃত কাশ্মীরের বিনিময়ে!
ভারতের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়া গ্রামের কৃষক ইউনিয়ন জানায়, ইমরান খান ভারতের বিরু’দ্ধে যা করেছেন তার জন্য যদি মাফ চান এবং পাকিস্তন অধি’কৃত কাশ্মীর ছেড়ে দেন তাহলে তারা টমেটো পাকিস্থানে পাঠিয়ে দেবেন।
কৃষক ইউনিয়নের চিঠিতে জানানো হয়, সন্ত্রা’সবাদী কার্যকলাপের প্র’তিবাদে ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন পাকিস্থানে টমেটো পাঠানো বন্ধ করেছিল। প্যাটেলাবাদের টমেটো প্রচুর পরিমাণে ওয়াঘা বর্ডার দিয়ে পাকিস্থানে পাঠানো হতো।
চিঠিতে লেখা হয়েছে, পাকিস্থানকে নিজের কৃতকর্মের জন্য মাফ চাইতে হবে, পাকিস্থান অধি’কৃত কাশ্মীরকে যেভাবে জোর করে দখ’ল করে রেখেছে, সেখান থেকে সরে যেতে হবে। সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিম এবং অন্যান্য সন্ত্রা’সবাদীদের ভারতের হাতে তুলে দিতে হবে। এই কাজগুলো করলেই ভারতীয় কৃষক ইউনিয়ন টমেটো রপ্তানি শুরু করবে।
শীতে গরুর জন্য জ্যাকেটের বন্দোবস্ত করছেন বিজেপি নেতারা
শীতের বিষয়টি মাথায় রেখে গরুর জন্য পাটের জ্যাকেট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বিজেপি শাসিত অযোধ্যা পৌরসভা। শীতকালে শহরের খামারের গরুগুলোর ক’ষ্ট দূর করতে পৌর প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গরুর প্রতিটি জ্যাকেটের দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা করে ধরেছে কর্তৃপক্ষ। প্রথম দফায় ১০০টি জ্যাকেট তৈরি করা হবে। আর সেগুলো নভেম্বরের মধ্যেই হাতে পাবে প্রশাসন।
অযোধ্যা নগর নিগমের কমিশনার নীরজ শুক্লা বলেন, আমরা গরুর জন্য জ্যাকেট কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৩/৪টি পর্যায়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বৈশিংপুর গোশালা থেকে। এখানে ৭০০ ষাঁড়সহ মোট প্রায় ১২০০ গবাদিপশু আছে। প্রাথমিকভাবে গরুর বাছুরের জন্য ১০০টি জ্যাকেট কেনা হচ্ছে। বাকি জ্যাকেট পরে আরও কেনা হবে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বাছুরদের জন্য যে জ্যাকেট তৈরি হচ্ছে তাতে ৩টি স্তর থাকবে। শেষ স্তরে পাটের পরিবর্তে অন্য কোনো গরম মোলায়েম কাপড় ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। এছাড়া গরু ও ষাঁড়ের জন্য তৈরি জ্যাকেটের নকশাও সম্পূর্ণ আলাদা। ষাঁড়ের জ্যাকেট শুধু পাটের তৈরি হবে। তবে গরুর জ্যাকেটে থাকবে দুটি স্তর।
এছাড়া শীতের মৌসুমে গরুর যাতে ক’ষ্ট না হয় সে জন্য প্রতিটি গোশালায় বনফায়ারের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। সেই সঙ্গে গোশালার মেঝেতে খড় বিছিয়ে দেয়া হবে। গরুর পরিষেবা দেয়া তাদের অন্যতম লক্ষ্য বলে জানিয়েছে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।