সময় এখন ডেস্ক:
পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের ঢেউ উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একসময় অ’শান্ত ছিল। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শান্তি চুক্তির মাধ্যমে আমরা এ সমস্যার সমাধান করি। এক সময়ের অন্ধকার পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন বিদ্যুতের আলো ছড়াচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলো হলো- পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেলের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ক্যাম্পাসে গবেষণা প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি গাজীপুরের ডাটা সেন্টার ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) নতুন ৫টি জাহাজের প্রকল্প।
শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান করি। শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে। সেখানকার ১ হাজার ৮০০ অ’স্ত্রধারী আত্ম’সমর্পণ করেছে। তাদের আমরা পুনর্বাসন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহার নি’ষিদ্ধ ছিল। এখন সেখানে উন্নয়নের ঢেউ উঠেছে। সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সেখানে রাতদিন কাজ হচ্ছে। অর্থনীতির গতি সঞ্চার হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুকে হ’ত্যা করা না হলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে এই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো। স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্ত পরিবেশ ছিল। কিন্তু ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হ’ত্যা করার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম অ’শান্ত হয়ে ওঠে- যোগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলবে। কাজের গতি বাড়বে, সময় বাড়বে। সন্ধ্যা হলেই এখন অনেকে আর ঘুমিয়ে পড়ে না। বিদ্যুতের আলোয় কাজ করে।
বাংলাদেশের সঙ্গে মুজিববর্ষ উদযাপন করবে ইউনেস্কো
বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করবে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো)। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গণভবনে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের এক প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্বকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানান।
সভায় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, গত ২৫ নভেম্বর প্যারিসে ইউনেস্কো সদর দপ্তরে সংস্থার ৪০তম সাধারণ পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে আগামী বছর মুজিববর্ষ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
248