সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা থানায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয় এক ছাত্রীকে ধ-র্ষণ চেষ্টার দায়ে নুরুল ইসলাম সরদার (৬০) নামে এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নুরুল ইসলাম পেশায় একজন প্রাইভেট শিক্ষক। গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়তে যায়। সেখানে ওই বৃদ্ধ তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলে ঘরে ডেকে নিয়ে ধ-র্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে বৃদ্ধকে আটক করে। পরে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
পাটকেলঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মুর্শেদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ধ-র্ষণচেষ্টার ঘটনায় থানায় নারী ও শিশু নির্যা’তন দ’মন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
পুঠিয়ায় আরবি পড়তে গিয়ে ধ-র্ষিত কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা, ২ ইমাম গ্রেপ্তার
রাজশাহীর পুঠিয়ায় আরবি পড়তে গিয়ে মসজিদের ইমাম কর্তৃক এক কিশোরী একাধিকবার ধ-র্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভিক্টিমের পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত ইমাম ইয়াকুব আলী (৩৫) ও তার অপর এক সহযোগী ইমাম আব্দুল আলীমকে আটক করে।
গতকাল সোমবার উপজেলার জিউপাড়া ইউনিয়নের নতুন গাঁওপাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনাটি ঘটে। আটক ইয়াকুব আলী নরসিংদী জেলার সদর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে ও অপর সহযোগী ইমাম আব্দুল আলীম সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার শিমুলতলী গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে।
এদিকে ভিক্টিম ওই কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।
নতুন গাঁওপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মহির উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ইমাম ইয়াকুব আলী ছোট থেকে এই এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসায় লেখাপড়া শেষ করে। সে সুবাধে তিনি দীর্ঘদিন থেকে গাঁওপাড়া জামে মসজিদে নামাজ পড়াতেন। পাশাপাশি প্রতিদিন সকালে গ্রামের ছেলে-মেয়েদের আরবি পড়াতেন। তার কাছে আরবি পড়তে আসতো এই গ্রামেরই এক দরিদ্র কিশোরী। মেয়েটির সরলতার সুযোগ নিয়ে ইমাম মসজিদের খাস কামরায় তাকে একাধিকবার ধ-র্ষণ করেন। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। গত মাসে ইমাম অতি গোপনে ওই মেয়েটির অ্যাবর্শন করান।
এই বিষয়টি মেয়েটির পরিবার বুঝতে পেরে গ্রামের কয়েকজন মুরব্বিদের অবহিত করেন। পরে গত ৬ দিন আগে গ্রামের লোকজন মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে সালিশ বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ইমাম ওই মেয়েটির পরিবারকে ক্ষ’তিপূরণ বাবদ ২ লাখ টাকা দিতে হবে।
কিন্তু ইমাম টাকা না দিয়ে উল্টা ওই পরিবারকে বিভিন্নভাবে হুম’কি দিয়ে আসছিলেন। পরে মেয়েটির পরিবার গতকাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ নিয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে ইমামসহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সোমবার রাতে ওই ইমাম ও সহযোগী ইমামকে আটক করেছে।