সময় এখন ডেস্ক:
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হাম’লা মামলার মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামির মাথায় আন্তর্জাতিক জ’ঙ্গি সংগঠন আইএসের টুপি পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হাম’লা মামলার মৃ’ত্যুদ’ণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামির মাথায় আন্তর্জাতিক জ’ঙ্গি সংগঠন আইএসের প্রতীকসংবলিত টুপি পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে যা বেরিয়ে আসবে, সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাছান মাহমুদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে উ’দ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই। দেশে যেভাবে জ’ঙ্গি দম’ন করা হচ্ছে, তা অনেক উন্নত দেশও করতে পারেনি।
গতকাল বুধবার দুপুরে হলি আর্টিজান হাম’লা মামলায় ৭ জনের মৃ’ত্যুদ’ণ্ডের রায় দেন আদালত। তবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
এর আগে আদালতে তোলার সময় আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যানের মাথায় ‘আইএস টুপি’ দেখা গেছে। রায় ঘোষণার পরে দ’ণ্ডপ্রাপ্তদের আদালত থেকে কারাগা’রে নেওয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলার পর আরও এক জ’ঙ্গির মাথায় ওই টুপি দেখা যায়। তবে পুলিশি হেফাজতে থাকার পর তারা কীভাবে এ টুপি পেলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশে একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়নের ঢেউ উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম একসময় অ’শান্ত ছিল। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর শান্তি চুক্তির মাধ্যমে আমরা এ সমস্যার সমাধান করি। এক সময়ের অন্ধকার পার্বত্য চট্টগ্রামে এখন বিদ্যুতের আলো ছড়াচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ৪টি প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
উদ্বোধন করা প্রকল্পগুলো হলো- পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেলের মধ্যে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ শীর্ষক প্রকল্প, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় ক্যাম্পাসে গবেষণা প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি গাজীপুরের ডাটা সেন্টার ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) নতুন ৫টি জাহাজের প্রকল্প।
শেখ হাসিনা বলেন, ৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান করি। শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফিরে এসেছে। সেখানকার ১ হাজার ৮০০ অ’স্ত্রধারী আত্ম’সমর্পণ করেছে। তাদের আমরা পুনর্বাসন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপির আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামে মোবাইল ফোন ব্যবহার নি’ষিদ্ধ ছিল। এখন সেখানে উন্নয়নের ঢেউ উঠেছে। সোলার বিদ্যুৎ ব্যবহারের ফলে সেখানে রাতদিন কাজ হচ্ছে। অর্থনীতির গতি সঞ্চার হচ্ছে।
বঙ্গবন্ধুকে হ’ত্যা করা না হলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যে এই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো। স্বাধীনতার পর পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্ত পরিবেশ ছিল। কিন্তু ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হ’ত্যা করার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম অ’শান্ত হয়ে ওঠে- যোগ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
শেখ হাসিনা বলেন, শুধু পার্বত্য চট্টগ্রাম নয়, বাংলাদেশের একটি ঘরও অন্ধকার থাকবে না। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বলবে। কাজের গতি বাড়বে, সময় বাড়বে। সন্ধ্যা হলেই এখন অনেকে আর ঘুমিয়ে পড়ে না। বিদ্যুতের আলোয় কাজ করে।