সময় এখন ডেস্ক:
ঢাকার ধামরাইয়ে ডাকা’তি মামলার আলামত হিসেবে ক্রোক করা ৩টি ইজিবাইক কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে ‘গায়েব’ হয়ে গেছে। কিন্তু বিষয়টি গোপনই ছিল।
গতকাল বুধবার সহকারী উপপরির্শক (এএসআই) শামীম হোসেন ইজিবাইক ৩টির বিষয়ে জানতে চান ওই তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক একেএম ফজলুল হকের কাছে। এ নিয়ে ২ পুলিশ কর্মকর্তার মধ্যে তর্ক-বিত’র্ক হয়। এর পরই ‘উঁকি দেয়’ থলের বিড়াল। ইজিবাইক ৩টি গোপনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগের তীর এখন পরিদর্শক একেএম ফজলুল হকের দিকে।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর উপজেলার জালসা গ্রামে ৩ বাড়িতে ডাকা’তি হয়। ডাকা’তের ছু’রিকাঘা’তে স্কুলছাত্র রমজান আলী নিহ’ত হয়। এ ঘটনায় ধামরাই থানায় একটি হ’ত্যা ও ডাকা’তি মামলা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফজলুল হক বিভিন্ন এলাকা থেকে ছয় ডাকা’তকে গ্রেপ্তার করেন।
এ ছাড়া তিনি এএসআই শামীমকে সঙ্গে নিয়ে জিরানি এলাকায় একটি গ্যারেজ থেকে ডাকা’তদের ব্যবহৃত ৩টি ইজিবাইক ক্রোক করেন। ইজিবাইক ৩টি ডাকা’তি মামলার আলামত হিসেবে কাওয়ালীপাড়া ফাঁড়িতে রাখা হয়।
এ ঘটনায় গতকাল সকালে এএসআই শামীম হোসেন ও পরির্দশক ফজলুল হকের মধ্যে কথা কা’টাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে ফাঁড়ির সব কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্য দৌড়ে এসে তাদের দু’জনকে থামান। স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি জানার জন্য ওই পুলিশ ফাঁড়িতে গেলে ডাকা’তি মামলার আলামত ৩টি ইজিবাইক পাওয়া যায়নি।
কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই শামীম হোসেন বলেন, আমি ও আইসি স্যার (ফজলুল হক) জালসা ডাকা’তি মামলার আসামি ১ ডাকা’তকে গ্রেপ্তার করি। পরে তার স্বীকারো’ক্তির পরিপ্রেক্ষিতে ৩টি ইজিবাইক উদ্ধার করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসি। ১৫-২০ দিন সেগুলো ফাঁড়িতে ছিল। এরপর আইসি স্যার তা কী করেছেন আমি জানি না। উনি সিনিয়র অফিসার, বেশি কিছু বলতে গেলে আমাকে বদলি করে দেবেন। ভাই বেশি কিছু বলতে পারব না, আপনারা অন্যদের কাছে জেনে নেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক বলেন, আমি অন্য একটি ডাকা’তির ঘটনায় বাইরে এসেছি। আপনাদেরকে শামীম ডেকে এনেছে?- প্রশ্ন করে ফোন রেখে দেন। এরপর তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিপক চন্দ্র সাহার কাছে মোবাইল ফোনে ইজিবাইক বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফজলুল আমার কাছে আছে। বিষয়টি জেনে আপনাকে জানাব।
এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার এসপি মারুফ হোসেন সরর্দার জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।