বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ডেস্ক:
সূর্যের আদলেই একটি ‘কৃত্রিম সূর্য’ তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছে চীনের বিজ্ঞানীরা। গত ২৬ নভেম্বর, মঙ্গলবার এর কাজ শেষ করেছে তারা।
নিউক্লিয়ার ফিউশন রিঅ্যাক্টরের মাধ্যমে তৈরি ‘কৃত্রিম সূর্য’ অনেকটা সত্যিকার সূর্যের মতোই কাজ করবে। এর উত্তাপ আসল সূর্যের চাইতেও ১৩ গুণ বেশি। যা হবে ২০০ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ৩৬০ মিলিয়ন ডিগ্রি ফারেনহাইট। যেখানে সূর্যের কেন্দ্রে উত্তাপ ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ২৭ মিলিয়ন ডিগ্রি ফারেনহাইট।
চায়না ন্যাশনাল নিউক্লিয়ার কোঅপারেশন অ্যান্ড দ্য সাউথ ওয়েস্টার্ন ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্সের বানানো এই কৃত্রিম সূর্যের নাম দেওয়া হয়েছে এইচএল-টুএম। দেশটির সিচুয়ান প্রদেশের লেসানে এই রিঅ্যাক্টরটি বসানো হয়েছে। ২০২০ সালে এটি কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার প্রতিবেদনে।
মহাকাশে নিজস্ব আস্ত একটা চাঁদ পাঠাচ্ছে চীন!
মাটি খুঁড়ে ল্যাম্পপোষ্ট বসিয়ে, ইলেক্ট্রিক ওয়্যার সংযোগ দিয়ে রাস্তায় বাতি জ্বালিয়ে পুরো শহর আলোকিত করার চাইতে যদি চাঁদের আলোতেই যদি চারপাশ আলোকিত করে দেয়া যায়, তবে তো চাঁদই হতে পারে উপযুক্ত সমাধান। কিন্তু চাঁদ তো আর সবদিন একইসাথে সমানভাবে আলো দেয় না। সেই আলো মানুষ এবং যানবাহন চলাচলের জন্য পরিপূর্ণভাবে রাস্তা আলোকিত করতেও সক্ষম নয়! তাহলে উপায়?
এই চিন্তা থেকেই মহাকাশে নিজেদের তৈরী আস্ত চাঁদ পাঠাচ্ছে চীন। ইতোমধ্যে এটি মহাকাশে নির্দিষ্ট অরবিটে স্থাপন করতে অনেকদূর এগিয়েও গিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ২০২০ সালের মধ্যে তারা এই কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম হবে বলে জানানো হয়েছে।
মূলত বিদ্যুৎ খরচ করে শহরের রাস্তায় লাইট না জ্বালানোর উদ্দেশ্যে এমন বিস্ময়কর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশটি। দেশটির একটি শহরে উৎক্ষেপণ করা ওই চাঁদ আকাশ থেকে চারপাশের প্রায় ৫০ কিলোমিটার এলাকা আলোকিত করবে।
চীনের সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলির এক প্রতিবেদেনে জানানো হয়েছে, ২০২০ সালে সেই চাঁদটি চেংদুর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে। ওই অঞ্চলের ওপরে নিক্ষেপ করা এই উপগ্রহটি সত্যিকারের চাঁদের চেয়ে ৮ গুণ বেশি আলো দেবে। উপগ্রহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই প্রকল্পের কিছু কিছু তথ্য প্রকাশ করেছেন।
সেখানে বলা হচ্ছে, ফ্রান্সের একজন শিল্পীর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই এ প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তারা। ওই শিল্পী আকাশ থেকে পৃথিবীতে আয়নার একটি নেকলেস ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা প্রথম কল্পনা করেছিলেন।
চেংদু অ্যারোস্পেস সায়েন্সে টেকনোলোজি মাইক্রো-ইলেক্ট্রনিক্স সিস্টেম রিসার্স ইন্সটিটিউট কোম্পানি লিমিটেডের প্রধান উ চুংফেন্ড ১০ অক্টোবর কৃত্রিম চাঁদ নামের এই প্রকল্পের বিষয়টি প্রথম জনসম্মুখে প্রকাশ করেন।
এমন চাঁদের ব্যাপারে উ চুংফেন্ডকে সংশয়ের কথা জানালে তিনি বলেন, আমরা অনেক বছর ধরে এটির উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আর বর্তমানে আমরা এ ব্যাপারে আশাবাদী যে ২০২০ সালের মধ্যে আমরা এটিকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করতে পারব।