বিশেষ প্রতিবেদন:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আসন্ন জাতীয় কাউন্সিলে সৎ, ত্যাগী ও ক্লিন ইমেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতাদের জন্য অপেক্ষা করছে নতুন হাতছানি। দীর্ঘদিনের ত্যাগী, পরিশ্রমী এবং সর্বান্তকরণে ক্লিন ইমেজের ছাত্রনেতাদের যোগ্য পদে বসানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। খবর অনলাইন দৈনিক বাংলা ইনসাইডারের।
গণমাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, আগামী কাউন্সিলে সাবেক ছাত্রনেতাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তাদের আমলনামা নেওয়া হচ্ছে।
সাবেকদের মধ্যে ১৯৯২ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্বে থাকা ক্লিন ইমেজের অধিকারী মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরী বর্তমানে অনেকটা নীরব রয়েছেন। নেই কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে। আগামী কাউন্সিলে তাকে সম্মানজনক পদে দেখা যেতে পারে। যদিও তার সময়কার সাধারণ সম্পাদক ইকবালুর রহীম বর্তমানে জাতীয় সংসদের হুইপ।
বর্তমান পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের সময়কার সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী খান পান্না একটি ইন্সুরেন্স কোম্পানীর চেয়ারম্যান পদে আছেন। রাজনৈতিকভাবে কাঙ্ক্ষিত পদ এখনো তার ভাগ্যে জোটেনি। আসন্ন কাউন্সিলে তাকেও দেখা যেতে পারে একটি কাঙ্ক্ষিত পদে। ১৯৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন বাহাদুর ব্যাপারী। বর্তমানে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। রাজনীতিতে বাহাদুর ব্যাপারীর ত্যাগ এবং ক্লিন ইমেজের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় সংবাদমাধ্যমটি।
২০০৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন মাহমুদ হাসান রিপন। একই সময় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন। দুজনেই আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক ছিলেন। রিপন নিজ নির্বাচনী এলাকা গাইবান্ধার সাঘাটা-ফুলছড়ি আসনে অনেক সময় দিচ্ছেন। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব কর্মসূচিতে নিজের উপস্থিতি জানান দিচ্ছেন।
এছাড়া সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগেরও ক্লিন ইমেজের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে,আগামী কাউন্সিলে সাবেক ছাত্রনেতারা যারা বিগত দিনে বিভিন্ন কারণে উপেক্ষিত তাদের ত্যাগ ও সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনা করে যোগ্যতার স্থানে বসানোর চিন্তাভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরুল্লাহর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, দলীয় সভানেত্রী সাবেক ছাত্রনেতাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন। যাদের আমলনামা ভালো তাদের আগামী কাউন্সিলে যথাযথ মূল্যায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।