যশোর প্রতিনিধি:
যশোরের বেনাপোলে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনু-প্রবেশ করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ৪ সদস্য। তাদের মধ্যে ৩ জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ১ জনকে আটক করে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)।
আটককৃত বিএসএফ সদস্যকে স্থানীয়রা পি’টুনি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়টি বিজিবি কর্তৃপক্ষ অস্বীকার করেছেন।
জানা যায়, সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে বেনাপোল সীমান্তের প্রধান সড়ক দিয়ে অনু-প্রবেশ করেছিল ওই বিএসএফ সদস্যরা। আটক বিএসএফ সদস্যের নাম শ্রী চৈতন্য। আটকের পর তাৎক্ষণিকভাবে ২ দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সমঝোতায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে বিএসএফ-এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি জানায়, এক বাংলাদেশি স্মাগলারকে ধরতে গিয়ে সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিলেন ওই বিএসএফ সদস্যরা।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর-৪৯ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সেলিম রেজা বলেন, ১ জন বিএসএফ সদস্যকে আটকের পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানিয়েছে, সীমান্তবর্তী বড় আঁচড়া গ্রামের আলী হোসেন অ’বৈধভাবে ভারতে গেলে তাকে আটক করে বিএসএফ। সে পালিয়ে বাংলাদেশ সীমানার দিকে দৌড় দিলে পিছু নেয় ওই ৪ বিএসএফ সদস্য। এক পর্যায়ে তারা নো-ম্যান্সল্যান্ড পেরিয়ে বাংলাদেশের ২০০ গজ ভেতরে বেনাপোল চেকপোস্টের পুরাতন ইমিগ্রেশন এলাকায় ঢুকে আলী হোসেনকে আটক করে মারধ’র করে।
খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যান বিজিবি সদস্যরা। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে বিএসএফ সদস্যদের ৩ জন ও স্মাগলার আলী হোসেন পালিয়ে গেলেও বিজিবির হাতে আটক হন হেড কনস্টেবল শ্রী চৈতন্য। পরে তাকে বিজিবি ক্যাম্পে নেওয়া হয়।
তবে স্থানীয় একটি সূত্র বলছে, শ্রী চৈতন্যকে স্থানীয়রাই পাকড়াও করে প্রথম দফায় পি’টুনি দেয়। বিজিবি সদস্যরা এসে পড়লে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়। যদিও এ বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি।
দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটক বিএসএফ সদস্যকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
1.8K