চট্টগ্রাম ব্যুরো:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জেলের জালে বিরল প্রজাতির হাঙ্গর (হোয়েল শার্ক) ধরা পড়েছে। এটির ওজন প্রায় ২০০ কেজি (৫ মণ)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শেখেরখীল ইউনিয়নের বাংলাবাজার ফিশারিঘাটের রিদুয়ান মাঝি নামের এক জেলের জালে হাঙ্গরটি আটকা পড়ে।
রিদুয়ান বলেন, নিয়মিত আমার জাল বঙ্গোপসাগরে ফেলা হয়। নির্দিষ্ট সময় পর পর জেলেরা জাল টানেন। বৃহস্পতিবার জাল টানতেই বিশাল আকৃতির হাঙ্গরটি ধরা পড়ে।
হাঙ্গরটিকে মৃ’ত অবস্থায় ধরা হয় বলে জানান তিনি। এদিকে বিশালাকার এই হাঙ্গরটি ধরা পড়ার খবর পেয়ে দেখার জন্য ঘাটে ভিড় জমান উৎসুক জনতা। তবে, বিরল প্রজাতির হওয়ায় প্রাণীটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়। দেখতে আসা মানুষদের অনেকেই এটাকে তিমি বলে ভেবেছেন। তবে, আসলে এটি হাঙ্গরের একটি বিরল প্রজাতি।
জানতে চাইলে বাঁশখালী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মাহাবুবর রহমান বলেন, জালে আটকা পড়া প্রাণীটি হাঙ্গর প্রজাতির। এ প্রজাতির মাছ আমাদের এদিকে খুব কমই পাওয়া যায়।
জালে ধরা পড়া প্রাণিটির পরিচয় নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ বন বিভাগের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা জোহরা মিলার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রাণীটিকে হোয়েল শার্ক হিসেবে চিহ্নিত করেন।
তিনি বলেন, এটি হোয়েল সার্ক বা তিমি হাঙ্গর। তিমির মতো বিশাল আকৃতি ও একই ধরনের খাদ্যাভাসের কারণে এ ধরনের নামকরণ করা হয়েছে। এটি গভীর সাগরের মাছ।
আইইউসিএন এর লাল তালিকা অনুযায়ী হাঙ্গরের এই প্রজাতিটি বি’পন্ন। বন্যপ্রাণী আইন ২০১২ অনুযায়ী এই হাঙর শিকার শা’স্তিযোগ্য অপরাধ, যোগ করেন বন বিভাগের এই কর্মকর্তা।
মেঘনায় ধরা পড়ল ৫ মণ ওজনের শাপলা পাতা মাছ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনায় জেলেদের জালে ৫ মণ ওজনের একটি বিশাল আকৃতির শাপলা পাতা মাছ ধরা পড়েছে। ১৮ নভেম্বর পৌর শহরের পলতাকান্দা গ্রামের জেলে আলমগীর হোসেনের জালে মাছটি ধরা পড়ে।
জেলেদের আশা করেছিলেন, শাপলা পাতা মাছটি ১ লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। বিশাল আকারের মাছটি সন্ধ্যায় নৈশ মৎস্য আড়তের মনির এন্টারপ্রাইজের মালিক রাজু বেপারী কাছে নিয়ে আসেন তারা। মাছ দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আড়তে ক্রেতারা মাছটির দাম ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত বলেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি হয় মাছটি।