সময় এখন ডেস্ক:
স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২য় বর্ষের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার কথিত প্রেমিক সৈকতকে জিজ্ঞাসা’বাদের জন্য গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি দক্ষিণ বিভাগ) উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজিব আল মাসুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তাকে আটক করা হয়নি। রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মৃ’ত্যুর ঘটনায় জিজ্ঞাসা’বাদের জন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে সিদ্ধেশ্বরীর সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাসার নিচে অ’জ্ঞাত ডেডবডি দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা হ’ত্যার আলামত সংগ্রহ করেন।
সুরতহালে পুলিশ গুরুতর কিছু ইনজুরি পায়। সংগৃহীত আলামত ফরেনসিক ল্যাবে পাঠায়। ওই ঘটনার পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হ’ত্যা মামলা করে। ময়না-তদন্তের জন্য ডেডবডি পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে।
ময়নাতদন্ত শেষে ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ড. সোহেল মাহমুদ জানান, নিহ’ত তরুণীর হাত, পা, কোমরসহ শরীরের কয়েক জায়গা ভাঙা ছিল। মৃ’ত্যুর কারণ ময়না-তদন্তের প্রতিবেদন পেলে স্পষ্ট হবে। আর ভবন থেকে পড়ে মা’রা যাবার আগে তাকে ধ-র্ষণ করা হয়েছিল কি না- তা জানতে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর সে বিষয়েও নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে রমনার ওসি নিহ’তের পরিচয় নিশ্চিতের তথ্য জানিয়ে বলেন, নিহ’তের নাম রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা। তার বাবার নাম রোকন উদ্দিন। তিনি হবিগঞ্জ এলাকায় পুলিশ ইনসপেক্টর হিসেবে কর্মরত। রুম্পার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় হলেও রাজধানীর মালিবাগের শান্তিবাগ এলাকায় থাকতেন।
ঘটনার ছায়া তদন্ত করছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি দক্ষিণ বিভাগ)। ডিবি দক্ষিণের উপ-কমিশনার (ডিসি) রাজিব আল মাসুদ বলেন, ঘটনাটি চাঞ্চল্য ছড়ানোর পর ছায়া তদন্ত শুরু করেছে গোয়েন্দা দক্ষিণ বিভাগ। আসলে সুইসাইড নাকি, হ’ত্যা সেটা আগে নিশ্চিত হওয়া জরুরি। তাছাড়া অন্যান্য আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়ার পর স্পষ্ট হবে মোটিভ।
অন্যদিকে রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, যে স্থান থেকে ডেডবডি আমরা উদ্ধার করেছি, তার আশপাশের কোনো ভবনে থাকত না নিহ’ত রুম্পা। রুম্পা থাকত শান্তিবাগে। স্বভাবত, সন্দেহ জোরালো হয় যে, রুম্পা হ’ত্যার শি’কার হয়েছেন। তবে সেটাও তথ্য প্রমাণ সাপেক্ষ। রুম্পাকে হ’ত্যার পর এখানে আনা হয়েছে, নাকি কোনো ভবন থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে অথবা উপর থেকে সে সুইসাইড করার উদ্দেশে লাফিয়ে পড়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ওসি আরও বলেন, আমরা আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। কিন্তু তাতে বিশেষ সাহায্য পাইনি। ঘটনা সংশ্লিষ্ট ফুটেজ মেলেনি। তবে ঘটনা জানার চেষ্টা করছি। কাউকে আটক না করলেও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসা’বাদ করেছি। আশা করছি, খুব দ্রুত পুরো ঘটনাটা স্পষ্ট হবে।